
গাজীপুর–কালিয়াকৈর প্রতিনিধি◼️
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ ও ঐক্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের ৩১ দফা বাস্তবায়ন, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি সফল করার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির খান। সভাপতিত্ব করেন কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সাইজুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ মুজিবুর রহমান, এডভোকেট কামরুজ্জামান কামরুল, মোয়াজ্জেম হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট নিরসনে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রয়োজন। তারা জানান, শুধুমাত্র একটি নিরপেক্ষ সরকারই পারে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।
এছাড়াও সমাবেশে নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তাদের দাবি, এই কমিটির সদস্যরা অতীতে দলীয় আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন না এবং দলীয় দুঃসময়ে রাজপথে তাদের দেখা যায়নি। বরং যারা আন্দোলন, মামলা, হামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে সংগঠন ধরে রেখেছেন, তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, কিছু সুবিধাভোগী ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। বক্তারা অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের এখন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, যাতে করে দেশ ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়।
এ সময় হাজারো নেতাকর্মী ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে মুখর হয়ে, অবৈধ কমিটি মানি না, মানবো না, খালেদা জিয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে প্রভৃতি স্লোগান দেন। পুরো সমাবেশস্থল উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়।