শরিফ আহম্মেদ চাঁদ,হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে সাজ সজ্জায় সজ্জিত হয়েছে রংবেরং এ। প্রতিমাকে তুলির আঁচড়ে আকর্ষনীয় করে ফুটিয়ে তুলেছে কারিগররা। আলোকসজ্জাসহ বাহারী সব আয়োজন দুর্গাপুঁজাকে ঘিরে চারিদিকে বিদ্যমান। আজ ২০অক্টোবর শুক্রবার থেকে ষষ্ঠী পূঁজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূঁজা।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় প্রতিটি পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটা গ্রামে উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলায় পৌরসভা সহ এবারে ৩৩ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের কড়া নজরদারী রয়েছে সর্বত্র। গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। আসন্ন দুর্গাপূঁজা উপলক্ষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাথে প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন করেছেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, এবছর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৩৩টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু বিশ্বনাথ সাধু খাঁ জানান, এবছর হরিণাকুন্ডু উপজেলা পৌরসভা সহ ৩৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি আশা রাখি পরিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা শারদ অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারবো।
হরিণাকুন্ডু উপজেলায় পৌরসভা সহ ৩৩ টি মন্দিরেই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীনেই আমাদের শারদ অনুষ্ঠান উদযাপন হবে।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতির বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আজিম-উল-আহসান জানান, দুর্গাপূজা উদযাপনে সার্বিক শৃংখলা বজায় রাখতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা, মন্দিরভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন ও পুলিশী টহলসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এই উৎসবে কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহল কর্তৃক ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করতে চাইলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। সকলের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।