
মো:সাদেকুল ইসলাম,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্র শফিকুল ইসলাম শিমুল ওতার পরিবারের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ মার্চ ) সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও পর্যন্ত ছাত্রীকে উদ্ধার করাসহ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার খাতাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম এর মেয়ে মোছাম্মৎ বৃষ্টি আক্তার লালমনিরহাট চার্জ অফ গড স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ।
গত ২ মাস আগে ওই ছাত্রীটির দিকে কুনজর পড়ে পার্শ্ববতী এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্র শিমুল (১৮)। ছাত্রীটি স্কুলে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে লম্পট শিমুল তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিয়ের কথা বলে উত্যক্ত করে আসছিল।
বিষয়টি স্কুল ছাত্রীর বাবা জানার পর তিনি শিমুল সহ তার পরিবারকে সতর্ক করেন। এরপরও বিষয়টি আমলে নেয়নি ছেলের পরিবার।
এমতাবস্থায় গত ১ মার্চ সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ছাত্রীটি প্রাইভেট পড়ার জন্য স্থানীয় শহিদুল মাষ্টারের বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে বিসিক শিল্প নগরী দৌলা পাম্পের পশ্চিম সামিয়া ট্রেডার্স এর সামন থেকে শিমুল এর নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি দল ছাত্রীটিকে জোর পূর্বক অজ্ঞাত অটো যোগে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মেয়েকে অপহরণের বিষয়টি জানতে পেয়ে বাবা রফিকুল ইসলাম শফিকুল ইসলাম শিমুলও তার বাবা রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত মেয়েটিকে উদ্ধার করাসহ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে মেয়েটিকে নিয়ে খুবই দুঃচিন্তায় রয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এবিষয়ে জানার জন্য কলেজ ছাত্র অভিযুক্ত সুমনের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।তবে না প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন এটি একটি প্রেম ঘটিত ব্যাপার।
এ বিষয়ে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর চাচা মো: রেজাউল করিম বলেন, আমার নাবালিকা ভাতিজিকে দিনে-দুপুরে অপহরণ করে নিয়ে যায় আসামিরা।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ ভাতিজিকে উদ্ধার করাসহ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বিষয়টি খুব দুঃখজনক। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাসহ ভাতিজীকে উদ্ধার করে ফিরে দেয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আকবর বলেন, এবিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।