
মোঃ সাইফুল ইসলাম,বিরল উপজেলা প্রতিনিধি: ১লা মে /২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল বিরল উপজেলা শাখা ও পৌর শাখা এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রেলি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক মে দিবসে রেলি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, আ, ন ,ম বজলুর রশিদ (কালু) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,ও যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জেলা বিএনপি, দিনাজপুর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, মোঃ লিয়াকত আলী সভাপতি বিরল পৌর বিএনপি,ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক দিনাজপুর জেলা বিএনপি।সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ একরামুল হক চুন্নু সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল বিরল উপজেলা শাখা। সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব মোঃ আব্দুল আলিম সাধারণ সম্পাদক বিরল উপজেলা শ্রমিক দল সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আহবায়ক বিরল পৌর শ্রমিক দল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নুরজামাল হোসেন (সোনাহার) সাধারণ সম্পাদক, পিরল পৌর বিএনপি,ও সদস্য দিনাজপুর জেলা বিএনপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা মহান ‘মে দিবস’ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত, আজকের এই দিনে দেশে-বিদেশে কর্মরত সকল শ্রমজীবী মানুষ, যারা নিজের জীবন বাজি রেখে জীবিকার জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের সর্বোপরি দেশের উন্নয়নের জন্য কর্মে নিয়োজিত আছেন তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সংগ্রামী সালাম। ১৮৮৬ সালের মে মাসে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে গিয়ে অ্যামেরিকার শিকাগো শহরে ‘হে মার্কেটে’ জীবনদানকারী এবং এই আন্দোলনের জন্য ফাঁসিকাষ্ঠে আত্মদানকারী প্রতিবাদী শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
এই দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন একজন যথার্থ শ্রমিক। তিনি নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। শ্রমিকদের দুটো হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি বলতেন। এদেশের শ্রমিকের কল্যাণে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
এদেশে শ্রম আইন সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বেতন ও মুজুরী কমিশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও তাদের বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সন্তানদের চিকিৎসা ও তাদের লেখা পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে পোশাক শিল্পে। এই শিল্পে শহীদ জিয়ার রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়। পোশাক শ্রমিকদের কল্যানে দেশ আজ ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আগামীতেও বিএনপি ক্ষমতাসীন হলে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের কল্যান ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছি।
দুঃশাসনের প্রকোপে শ্রমিক শ্রেনী ছিল সবচেয়ে নিপীড়িত। গতবছর গণঅভ্যূত্থানে ছাত্রদের সাথে শ্রমিকদের আত্মদানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসীবাদের পতন হয়। এখন শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কোন প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা না। তথাপিও শ্রমিকরা অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। দেশে উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির চাপে শ্রমজীবী মানুষ এখনো দুঃখ-কষ্টে জীবন যাপন করছে।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, দুনিয়াজুড়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শোষণ মুক্তির সংগ্রাম বেগবান করার লক্ষ্যে মহান মে দিবসে শপথ নিতে হবে।