
ইসলামিক ডেস্ক–◼️
ইসলামে কিছু সময় এমন আছে, যেগুলোতে দোয়া কবুলের আশ্বাস রয়েছে। তন্মধ্যে এক বিশেষ সময় হলো আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়। হাদীসে এই সময়কে বলা হয়েছে সাআতুল ইজাবা, অর্থাৎ কবুলের মুহূর্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন
“জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ তাআলা তা অবশ্যই কবুল করেন।” (সহীহ মুসলিম)
কিন্তু আলেমরা বলেন, শুধু জুমার দিনই নয়, প্রতিদিনের আসর ও মাগরিবের মাঝখানের সময়টিও বিশেষ রহমতের সময়। বহু হাদীস ও সাহাবীদের আমল থেকে জানা যায়, এই সময়টিতে দোয়া করলে ফেরেশতারা স্বয়ং আমিন বলেন এবং দোয়া আসমানে উঠিয়ে দেন।
এই সময়টি যখন সূর্য ঢলে পড়ে, দিনের আলো ম্লান হতে থাকে,তখন একজন মুমিনের হৃদয়ে জমে থাকা আবেগ ও ব্যথা আল্লাহর দরবারে আরো নিঃস্বার্থভাবে পৌঁছায়। অনেক সময় আমাদের জীবনের অনেক কঠিন মোড়, অনেক অপূর্ণ চাওয়া—এই সময়ের একটি চোখের জলের বদৌলতেই বদলে যায়।
একজন মানুষ যখন এই সময় হাত তুলে বলে—“হে আল্লাহ, আমার মা-বাবাকে ক্ষমা করো”, “আমার পড়াশোনা বা রিজিক সহজ করে দাও”, “আমার কষ্ট দূর করে দাও”—তখন তা শুধু উচ্চারিত শব্দ নয়, বরং আত্মার ভাষা হয়ে উঠে। আর সেই দোয়ার পেছনে দাড়িয়ে যান ফেরেশতারা, বলেন আমিন।
আজকের এই ব্যস্ত, বিষণ্ন সময়ের মধ্যেও যদি আমরা একটু থেমে গিয়ে আসরের পর দোয়া করি, তাহলে তা হতে পারে আমাদের জীবনের মোড় ঘোরানো এক মোক্ষম প্রার্থনা। মুঠোফোন ফেলে, টিভি বন্ধ করে, একটু নির্জনে—শুধু দোয়া।
কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, “যখন তোমরা দোয়া করো, বিশ্বাস করো, তা কবুল হবে।”
আর এই বিশ্বাসের শ্রেষ্ঠ সময়গুলোর একটি—বিকাল বেলার রহমতের এই জানালা।