Dhaka ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা চিকিৎসা নয়, আগে জাতির কথা— ড.শফিকুর রহমান শহীদদের স্মরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শপথ নিলো নরসিংদী বিএনপি দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করলেন ইবি শিক্ষার্থীরা বগুড়ায় পুত্রবধূ ও শ্বশুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি র‍্যাবের জালে OHCHR মিশন আসছে বাংলাদেশে:জাতিসংঘের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি তারেক রহমানকে কটাক্ষের প্রতিবাদে নরসিংদীতে যুবদলের বিক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

এক হাতে দায়িত্ব, আরেক হাতে দাওয়াত:রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার ব্যতিক্রমী কুরআন-জীবন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • ৪৯ Time View

মোঃ মোশারফ হোসেন– নেত্রকোনা সদর◾

 

সরকারি চাকরি, বিসিএস ক্যাডার, প্রশাসনিক দায়িত্ব—এই সবকিছুই আজ সমাজে মর্যাদার প্রতীক। যেখানে অনেকেই এসব ব্যবহার করে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল জীবন, সেখানে ব্যতিক্রম এক নাম রায়হানুল হক।

 

বর্তমানে তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার। একইসঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন চন্ডিগড় ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবেও। প্রশাসনিক এসব পরিচয়ের আড়ালে তাঁর আরেকটি পরিচয়, যা দিন দিন মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে—তিনি একজন আত্মনিবেদিত দাঈ, কুরআনের এক নিষ্ঠাবান আহ্বায়ক।

 

রায়হানুল হক নিজেকে কখনো বড় কিছু ভাবেন না। তাঁর কথায়, “আমার আসল পরিচয় আমি আল্লাহর এক বান্দা, আর দায়িত্ব হলো দাওয়াত দেওয়া—নিজে নামাজে অটল থাকা এবং অন্যদেরও ডাক দেওয়া।”

 

দিনভর সরকারি দায়িত্ব পালন করেও তিনি প্রতিনিয়ত সময় বের করেন মানুষের কাছে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে। এলাকার তরুণদের নিয়ে বসে যান আলোচনা চক্রে, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পাশে দাঁড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া মক্তব পুনরুদ্ধারে কাজ করেন।

 

এই সময়েও, যখন সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে, তখন একজন কৃষি অফিসারের এভাবে ইসলামের খেদমতে আত্মনিয়োগ বিরল এক দৃষ্টান্ত।

 

রায়হানুল হকের জীবনে নেই কোনো বিলাসিতা, নেই পদমর্যাদার অহংকার। তাঁর জীবন সাদামাটা, তবে চিন্তা-মেধা-আচরণে এক আলোকিত মানুষ। সততা, নম্রতা ও আত্মশুদ্ধির এক বাস্তব উদাহরণ তিনি।

 

তিনি মনে করেন, “দাওয়াত শুধু আলেমদের কাজ নয়, প্রত্যেক সচেতন মুসলমানের দায়িত্ব। আমি সরকারি কর্মকর্তা হয়েছি—এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্ব, আর কুরআনের দাওয়াত আমার আত্মিক দায়িত্ব।”

 

এই বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রশাসনের চেয়ারে বসেও চেষ্টা করেন সমাজের অন্তরের পরিবর্তন ঘটাতে। তাঁর মিশন—মানুষকে নামাজে ফেরানো, কুরআনের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা, আর আমাদের প্রজন্মকে ইসলামি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা।

 

তিনি প্রমাণ করছেন, একজন সরকারি কর্মকর্তাও হতে পারেন সমাজ বদলের শক্তি—যদি তাঁর অন্তরে থাকে আল্লাহর ভয়, কুরআনের আলো এবং একটুখানি আন্তরিকতা।

 

রায়হানুল হক আমাদের শিখিয়ে দিচ্ছেন—প্রশাসনের চেয়ারে থেকেও একজন আলেমের মতো জীবন যাপন করা সম্ভব, যদি আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টিকে জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করেন।

 

এক হাতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব, অন্য হাতে কুরআনের দাওয়াত—এই দুইয়ের ভার একসাথে যিনি বহন করছেন নীরবে, নিঃশব্দে, তিনি আজকের সময়ের এক আলোকবর্তিকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

এক হাতে দায়িত্ব, আরেক হাতে দাওয়াত:রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার ব্যতিক্রমী কুরআন-জীবন

Update Time : ০৫:০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

মোঃ মোশারফ হোসেন– নেত্রকোনা সদর◾

 

সরকারি চাকরি, বিসিএস ক্যাডার, প্রশাসনিক দায়িত্ব—এই সবকিছুই আজ সমাজে মর্যাদার প্রতীক। যেখানে অনেকেই এসব ব্যবহার করে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল জীবন, সেখানে ব্যতিক্রম এক নাম রায়হানুল হক।

 

বর্তমানে তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার। একইসঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন চন্ডিগড় ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবেও। প্রশাসনিক এসব পরিচয়ের আড়ালে তাঁর আরেকটি পরিচয়, যা দিন দিন মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে—তিনি একজন আত্মনিবেদিত দাঈ, কুরআনের এক নিষ্ঠাবান আহ্বায়ক।

 

রায়হানুল হক নিজেকে কখনো বড় কিছু ভাবেন না। তাঁর কথায়, “আমার আসল পরিচয় আমি আল্লাহর এক বান্দা, আর দায়িত্ব হলো দাওয়াত দেওয়া—নিজে নামাজে অটল থাকা এবং অন্যদেরও ডাক দেওয়া।”

 

দিনভর সরকারি দায়িত্ব পালন করেও তিনি প্রতিনিয়ত সময় বের করেন মানুষের কাছে কুরআনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে। এলাকার তরুণদের নিয়ে বসে যান আলোচনা চক্রে, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের পাশে দাঁড়িয়ে হারিয়ে যাওয়া মক্তব পুনরুদ্ধারে কাজ করেন।

 

এই সময়েও, যখন সমাজে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে, তখন একজন কৃষি অফিসারের এভাবে ইসলামের খেদমতে আত্মনিয়োগ বিরল এক দৃষ্টান্ত।

 

রায়হানুল হকের জীবনে নেই কোনো বিলাসিতা, নেই পদমর্যাদার অহংকার। তাঁর জীবন সাদামাটা, তবে চিন্তা-মেধা-আচরণে এক আলোকিত মানুষ। সততা, নম্রতা ও আত্মশুদ্ধির এক বাস্তব উদাহরণ তিনি।

 

তিনি মনে করেন, “দাওয়াত শুধু আলেমদের কাজ নয়, প্রত্যেক সচেতন মুসলমানের দায়িত্ব। আমি সরকারি কর্মকর্তা হয়েছি—এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্ব, আর কুরআনের দাওয়াত আমার আত্মিক দায়িত্ব।”

 

এই বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রশাসনের চেয়ারে বসেও চেষ্টা করেন সমাজের অন্তরের পরিবর্তন ঘটাতে। তাঁর মিশন—মানুষকে নামাজে ফেরানো, কুরআনের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করা, আর আমাদের প্রজন্মকে ইসলামি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা।

 

তিনি প্রমাণ করছেন, একজন সরকারি কর্মকর্তাও হতে পারেন সমাজ বদলের শক্তি—যদি তাঁর অন্তরে থাকে আল্লাহর ভয়, কুরআনের আলো এবং একটুখানি আন্তরিকতা।

 

রায়হানুল হক আমাদের শিখিয়ে দিচ্ছেন—প্রশাসনের চেয়ারে থেকেও একজন আলেমের মতো জীবন যাপন করা সম্ভব, যদি আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টিকে জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য মনে করেন।

 

এক হাতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব, অন্য হাতে কুরআনের দাওয়াত—এই দুইয়ের ভার একসাথে যিনি বহন করছেন নীরবে, নিঃশব্দে, তিনি আজকের সময়ের এক আলোকবর্তিকা।