মুমিনুল ইসলাম,কয়রা প্রতিনিধি:
কয়রা উপজেলার ১নং আমাদী ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য দিলরুবা খাতুন কর্তৃক একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরী, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় মিথ্যা এবং হয়রানীমূলক সংবাদ পরিবেশনের বিরুদ্ধে ১১জন ইউপি সদস্যসহ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকার কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে উপজেলার আমাদী ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন সদস্যসহ চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল এক লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেছে। লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল বলেন, আমি সুনামের সহিত ১নং আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর অত্র ইউনিয়নের উন্নয়ন ও আমার সুনামকে ক্ষুন্ন করার প্রয়াসে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা প্রায় সময় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, হয়রানীমূলক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত কর্মকান্ড সৃষ্টি করিয়া তাহা প্রচার করিতে থাকে। কিন্তু প্রতিবারই আমার বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাইয়া তাহা প্রচারের বিষয় গুলো মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তাহারা আমার কোন ক্ষতি সাধিত করিতে পারি নাই। এরই ধারাবাহিকতায় আমার প্রতিপক্ষ আমার প্রতি ইর্শ্বান্বিত হইয়া বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করিতে থাকে। গত ২১ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হাজির হইয়া ৪০ দিন কাজের কর্মসূচী বিষয়ে মিটিং করিতে থাকি। এ সময় আমার ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১,২ ও ৩ আসনের সদস্যা মোছাঃ দিলরুবা খাতুন ও এ সময় উপস্থিত হয়। তাহার বিরুদ্ধে ৪০ দিন কর্মসূচী কাজের ব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগ উত্তোলন হইলে তিনি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার সাথে লেবার দেওয়া না দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সহিত অহেতুক তর্ক করিতে থাকে। এ সময় আমার ইউনিয়নের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাহারা মহিলা মেম্বার মোছাঃ দিলরুবা খাতুনের কথার পাল্টা জবাব দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি সকল মেম্বারদের মাধ্যমে স্বাভাবিক হয়। কিন্তু উক্ত মহিলা মেম্বার ওই সময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হইতে তাড়াহুড়া করিয়া বাহির হয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ইন্ধনে, কু-প্ররোচনায় প্ররোচিত হয়ে আমাকে মানহানিসহ অপদস্থ করায় গত ২৩ অক্টোবর তাহার বিরুদ্ধে কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করিয়াছি, যাহার নং- ১০০৬। আমার প্রতিপক্ষ মহিলা মেম্বার মোছাঃ দিলরুবা খাতুন থানায় সাধারণ ডায়েরী করিয়াও সুবিধা করিতে না পারায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, হয়রানী ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য প্রচার করিয়াছে। যাহা সম্পুর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও হয়রানীমূলক। আমি উক্ত মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
প্রকৃত পক্ষে উক্ত মহিলা মেম্বার দিলরুবার বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসূচীর কাজসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, দুর্ণীতির অভিযোগ করিয়া অন্য সকল ইউপি সদস্য ও ভুক্তভোগী জনগণ আমার নিকট অভিযোগ পেশ করেন। আমি যাহাতে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাহার বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে না পারি তাহার জন্য তিনি আমার রাজনৈতিক প্রতিক্ষদের সহিত হাত মিলিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানীমূলক, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত সাধারণ ডায়েরী ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করিয়াছে।
এ সময় উপস্থিত উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন ইউপি সদস্য যথা (১) মোঃ মনিরুজ্জামান ঢালী (২) মোঃ আঃ আজিজ সরদার (৩) মোঃ হাসানুর রহমান (৪) মোঃ আসমত আলী গাজী (৫) মোঃ ইসমাইল হোসেন (৬) স্বপন কুমার সরকার (৭) মোঃ মামুন সানা (৮) মোঃ মইনুল ইসলাম লিটন (৯) মোঃ আইয়বুর রহমান সানা (১০) মাহমুদা খাতুন (১১) রাহেলা খাতুন চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের লিখিত সংবাদ সম্মেলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারী একই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য দিলরুবা খাতুন কর্তৃক এহেন মিথ্যা অভিযোগে সাধারণ ডায়েরী ও সংবাদ পরিবেশনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে মহিলা সদস্য মোছাঃ দিলরুবা খাতুনের নিকট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানেিতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করিয়াছি তাহা সত্য এবং আমি কারও দ্বারা প্ররোচিত হই নাই।