কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিক ভিকটিম মোছাঃ নাজমা বেগম (৪০) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজারহাট থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গত ১৮ই অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ রবিবার বিকাল অনুমান ৩.৩০ ঘটিকার সময় রাজারহাট থানাধীন ০৪নং চাকির পশার ইউনিয়নের নাককাটি বাজারের পাশ থেকে রাজারহাট থানার রতিরাম পাঠান পাড়ার কুখ্যাত প্রতারক জ্বীনের বাদশা মোঃ শাহ আলম ওরফে নুর আলম (৩৩)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এসময় তার কাছ থেকে একটি স্বর্ণের সাদৃশ্য পুতুল উদ্ধার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায় কথিত প্রতারত জ্বীনের বাদশা মোঃ শাহ আলম ওরফে নুর আলম নানাকন্ঠে নানাভাবে অসংখ্য মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক মহিলার নিকট হতে স্বর্ণলংকার টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়।
কিছু দিন পূর্বে থেকে ভিকটিম মোছাঃ নাজমা বেগম (৪০) কে মহান আল্লাহ তালার গুপ্তধন দেওয়ার কথা বলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
গত ১৮ই অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রবিবার গুপ্তধন দেওয়ার কথা বলে পুনরায় কথিত জীনের বাদশা ভিকটিমের বাড়িতে আসার কথা।
ভিকটিম ও তার প্রতিবেশী লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কলের মাধ্যমে রাজারহাট থানা পুলিশকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক রাজারহাট থানা পুলিশ কথিত জীনের বাদশাকে কৌশলে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রুহুল আমীন বলেন,
গ্রেফতারকৃত নিজেকে জ্বীনের বাদশা হিসেবে পরিচয় দেওয়া মোঃ শাহ আলম ওরফে নুর আলম (৩৩) বিভিন্ন জেলার সম্মানিত নাগরিকের গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিলো।
আমরা ইতিপূর্বেও এই ধরনের প্রতারককে আইনের আওতায় এনেছি।
এই সব বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলার সম্মানিত নাগরিকদের আরো সতর্ক হওয়ার এবং এই ধরনের ঘটনা ঘটলে জেলা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করছি।
নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম জেলায় সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে ও সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তার নিমিত্তে সদা জাগ্রত কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।