নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিকদের হাতে লাঠি দেখা গেছে। শ্রমিকদের আন্দোলনের ২০০ মিটার দূরে স্থানীয় কলম্বিয়া পোশাক কারখানার সামনে পুলিশ থাকলেও আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেনি। সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে ১৩ বছর বয়সী এক শিশুশ্রমিক ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে নিষেধ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যেতে বলে।
কেন আন্দোলন করতেছো? জানতে চাইলে ওই শিশুশ্রমিক জানায়, গতকাল এই খানেই আমাদের এক শ্রমিক এক ভাই হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন চলছে সেই সাথে আমাদের দাবি বেতন কাঠামো সর্ব নিম্ন ২৩ হাজার টাকা করতে হবে সেই লক্ষেই আন্দোলন চলছে।
এদিকে গাজীপুর জেলার প্রায় সবকটি শিল্প এলাকায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। গতকাল ১ জন শ্রমিক নিহতের ঘটনার জের ধরে শ্রমিক আন্দোলনে নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে।
অবরোধকারীরা এ দুটি মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্নভাবে টায়ার জ্বালিয়ে কখনও গাড়িতে আগুন দিয়ে জনগনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। নিরাপত্তার অভাবে রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ কমে গেছে। সল্প পরিমানে রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন। মহাসড়কে ছোট ছোট গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনরত শ্রমিকরা
সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগরা বাইপাস এলাকায় অবস্থিত কলম্বিয়া গার্মেন্টসের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা যায়, শ্রমিক আন্দোলন ও অবরোধের কারণে নিরাপত্তা আতঙ্কে মহাসড়কে যানবাহন ও পথচারী কমে গেছে। মাঝে মাঝে মহাসড়কে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গণপরিবহন দেখা যায়। তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে।
মহাসড়কের আশেপাশে বিভিন্ন গার্মেন্টসের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে মালিকপক্ষের লোকজন অবস্থান করছেন। বড় কারখানাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ছোট ছোট কারখানার সামনে স্থানীয় লোকজন কারখানা রক্ষায় লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিদের বাইক নিয়ে মিছল দেখা যায়, এবং নেতা কর্মিরাও অনেক চেষ্টা করছে ভাংচুর বন্ধ কি ভাবে কর যায় একই সাথে আন্দোলন কেমন করে ঠেকানো যায়।
শিল্প পুলিশের সদর দফতর থেকে গাজীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মীর রকিবুল হক জানান, শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কোনাবাড়ি এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখেছেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, সকাল থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন জনগণ নিরদিধায় রাস্তায় আসতে পারে কোন প্রকার হতাশ বা ভয় না করে।