হান্নান 
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান হান্নান,বাঁশখালী প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় খানখানাবাদে অগ্নিকাণ্ডে ১২টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে বসতঘরের সব মালামাল পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
রোববার (১২ নভেম্বর) রাত ৯’টার দিকে খানখানাবাদ ইউপি’র ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরুজ্জামান চৌধুরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, খানখানাবাদ ইউপি’র ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরুজ্জামান চৌধুরী বাড়ির মো. বদি আহমদ, ছরোয়ার আলম, মো. করিম, মো. মিয়া, মো. সাদ্দাস, মাহবু আলম, আহমদ কবির, আবু তালেব, জয়নাল আবেদীন, হাফেজ আলমগীর, মো. লোকমান, জালাল।
স্থানীয়রা জানায়, অগ্নিকাণ্ডের স্থানে বেশ কয়েকটি পরিবার যৌথভাবে বসবাস করে। রোববার রাত ৯ টার দিকে হটাৎ একটি ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের আরও ১১টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পার্শ্ববর্তী ঘরের গ্যাসের চুলা থেকে এ আগুনের সুত্রপাত হয়। এদিকে খবর পেয়ে বাঁশখালীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে ততক্ষণে ১২ বসতঘরের সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডে খানখানাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরুজ্জামান চৌধুরী বাড়ির ১০/১২ টি বাড়ি ঘরের মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে আসায় ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।’
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা রওনা দিই। দুরত্ব বেশি হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে। এতে আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ ঘটনায় ১২টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।’
খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে আমিসহ এলাকার জনগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। হটাৎ আগুনে ১০/১২টি বাড়ির মালামাল পুঁড়ে যায়। বাড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেনে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। বর্তমানে আমার ব্যক্তিগত ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করা হয়েছে।’
অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’
