মোঃআমিন উল্লাহ টিপু,চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পতিত জমিতে শখের বসে পৃথকভাবে , শাহী, জাতের পেঁপে চাষ করে সচ্ছলতা এনেছেন মোঃইউসুফ, । সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী।
সরোজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গোদারকুল এলাকায়র , গ্রামের চাষি মোঃইউসুফ পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন।
প্রান্তিক এই চাষি জানান, বিগত বছরের তুলনায় এবছর ব্যপক পেঁপের ফলন পেয়েছেন। পেঁপে বিক্রি করে গত বছর তুলনা এই বছর মুনাফাও করেছেন কয়েকগুন। প্রত্যেকেই পৃথকভাবে প্রায় প্রতি মাসে পেঁপে বিক্রি করে লাভ পাচ্ছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো। ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে বেশ জনপ্রিয়। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙিনায় চাষ করা হতো ফলটি। বর্তমানে তারা বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে চমক সৃষ্টি করেছেন। প্রতি মণ সময় ভেদে ১৮’শ থেকে প্রায় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন এ পেপেঁ ।
এব্যপারে চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গোদারকুল গ্রামের মোঃইউসুফ জানান, এবছর আরো ২’শ মণ পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন তিনি। তার বাগানে শাহী, জাতের ১ বিগা পূর্ণবয়স্ক পেঁপে গাছ রয়েছে। প্রতিটা পেঁপে গাছে প্রায় ৫-৭ মণ পেঁপে ধরে। বর্তমানে এক বিগা জমির পাড়ে সারি সারি পেঁপে গাছ শোভা পাচ্ছে। প্রতিটি গাছের গোরা থেকে মাথা পর্যন্ত ঝুলে আছে অসংখ্য পেঁপে। তিনি সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ কেজি ওজনের পেঁপে সংগ্রহ করছেন।
ইউসুফ আরো জানান, বর্তমানে তিনি এলাকার (মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ফ্রি পেঁপে চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। নিজের ফলানো পেঁপে বিনামূল্যে সবজি হিসেবে এলাকার একটি এতিমখানায় দিয়ে থাকেন তিনি।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃআজাদ হোসেন বলেন, উপজেলার প্রায় পেঁপে বাগানে দেখভাল করার জন্য গিয়েছি। এসব প্রান্তিক চাষিরা খুব কর্মঠ মানুষ। এরা প্রায় প্রত্যেকেই উপজেলায় পেঁপে চাষ করে চমক দেখিয়েছেন।
এসব কৃষকেরা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান। বর্তমানে এই কৃষককে দেখে জেলার অনেকেই পেঁপে চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।