Dhaka ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা চিকিৎসা নয়, আগে জাতির কথা— ড.শফিকুর রহমান শহীদদের স্মরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শপথ নিলো নরসিংদী বিএনপি দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করলেন ইবি শিক্ষার্থীরা বগুড়ায় পুত্রবধূ ও শ্বশুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি র‍্যাবের জালে OHCHR মিশন আসছে বাংলাদেশে:জাতিসংঘের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি তারেক রহমানকে কটাক্ষের প্রতিবাদে নরসিংদীতে যুবদলের বিক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

চার সন্তানই শিক্ষক: তিন দশকের আলোর ফেরিওয়ালা নেত্রকোনার ফজলুল হক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ৪৫ Time View

মোঃ আজিজুল হক- দুর্গাপুর প্রতিনিধি (নেত্রকোনা)

 

বাবা-মা’র পরে যিনি একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন, তিনি হলেন শিক্ষক। আর এমনই একজন শিক্ষক নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া মফস্বল ইউনিয়নের হাজী মো. ফজলুল হক—যিনি শুধু শিক্ষক নন, ছিলেন আলোর দিশারী।

 

তার শিক্ষাদানে বেড়ে উঠেছে শত শত শিক্ষার্থী। অনেকেই আজ দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে, ব্যাংকে, প্রশাসনে এবং বিভিন্ন পেশায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু যাদের সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন তিনি, তারা আজও ভালোবাসায় স্মরণ করেন প্রিয় শিক্ষক ফজলুল হককে।

 

তার জীবনের বড় অংশ কেটেছে শিক্ষকতা করে। বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের বাইরে, নিজ বাড়িতে বিনামূল্যে গরীব-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন তিনি। অনেকের পড়াশোনার খরচও বহন করেছেন নিজ হাতে। শুধু পাঠ্যবই নয়, তাদের গড়েছেন নীতিনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে।

 

রংপুরে কর্মরত এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “ফজলুল হক স্যার ছিলেন আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এমন শিক্ষক এখন দুর্লভ। উনার মতো মানুষ আগামী একশো বছরেও পাওয়া কঠিন।”

 

শুধু ছাত্রছাত্রীই নয়, নিজের চার সন্তানকেও তিনি গড়েছেন শিক্ষার পথে। চারজনই এখন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। পিতার আদর্শ ও সেবামূলক মনোভাব দেখে তার সন্তানেরাও শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এই দৃষ্টান্ত আজ অনেক পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণা।

 

নেত্রকোনা জেলার শিক্ষাঙ্গনে তার অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি যেমন পাঠদান করেছেন, তেমনি নীরবে গড়ে তুলেছেন এক আলোকিত প্রজন্ম। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত হলেও তার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে।

 

এক ছাত্রী বলেন, “স্যার আমাদের শুধু পড়াননি, মানুষ হতে শিখিয়েছেন। আজীবন তার কাছে ঋণী থাকবো। সেলুট হে প্রিয় শিক্ষক!”

 

তার মতো আদর্শবান, মানবিক শিক্ষক সমাজে আজও অনুকরণীয়। তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন সাদা-মাটা গ্রামীণ শিক্ষকও হাজারো জীবন আলোকিত করতে পারেন। তাঁর অবদান যতটা নিঃশব্দ, ততটাই গভীর।

 

ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর একটাই প্রার্থনা—এই প্রিয় মানুষটির নেক হায়াত ও দীর্ঘায়ু হোক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

চার সন্তানই শিক্ষক: তিন দশকের আলোর ফেরিওয়ালা নেত্রকোনার ফজলুল হক

Update Time : ০৪:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

মোঃ আজিজুল হক- দুর্গাপুর প্রতিনিধি (নেত্রকোনা)

 

বাবা-মা’র পরে যিনি একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন, তিনি হলেন শিক্ষক। আর এমনই একজন শিক্ষক নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া মফস্বল ইউনিয়নের হাজী মো. ফজলুল হক—যিনি শুধু শিক্ষক নন, ছিলেন আলোর দিশারী।

 

তার শিক্ষাদানে বেড়ে উঠেছে শত শত শিক্ষার্থী। অনেকেই আজ দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে, ব্যাংকে, প্রশাসনে এবং বিভিন্ন পেশায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। কিন্তু যাদের সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন তিনি, তারা আজও ভালোবাসায় স্মরণ করেন প্রিয় শিক্ষক ফজলুল হককে।

 

তার জীবনের বড় অংশ কেটেছে শিক্ষকতা করে। বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের বাইরে, নিজ বাড়িতে বিনামূল্যে গরীব-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন তিনি। অনেকের পড়াশোনার খরচও বহন করেছেন নিজ হাতে। শুধু পাঠ্যবই নয়, তাদের গড়েছেন নীতিনিষ্ঠ মানুষ হিসেবে।

 

রংপুরে কর্মরত এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “ফজলুল হক স্যার ছিলেন আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এমন শিক্ষক এখন দুর্লভ। উনার মতো মানুষ আগামী একশো বছরেও পাওয়া কঠিন।”

 

শুধু ছাত্রছাত্রীই নয়, নিজের চার সন্তানকেও তিনি গড়েছেন শিক্ষার পথে। চারজনই এখন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। পিতার আদর্শ ও সেবামূলক মনোভাব দেখে তার সন্তানেরাও শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এই দৃষ্টান্ত আজ অনেক পরিবারের জন্য অনুপ্রেরণা।

 

নেত্রকোনা জেলার শিক্ষাঙ্গনে তার অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তিনি যেমন পাঠদান করেছেন, তেমনি নীরবে গড়ে তুলেছেন এক আলোকিত প্রজন্ম। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত হলেও তার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে।

 

এক ছাত্রী বলেন, “স্যার আমাদের শুধু পড়াননি, মানুষ হতে শিখিয়েছেন। আজীবন তার কাছে ঋণী থাকবো। সেলুট হে প্রিয় শিক্ষক!”

 

তার মতো আদর্শবান, মানবিক শিক্ষক সমাজে আজও অনুকরণীয়। তিনি প্রমাণ করেছেন, একজন সাদা-মাটা গ্রামীণ শিক্ষকও হাজারো জীবন আলোকিত করতে পারেন। তাঁর অবদান যতটা নিঃশব্দ, ততটাই গভীর।

 

ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর একটাই প্রার্থনা—এই প্রিয় মানুষটির নেক হায়াত ও দীর্ঘায়ু হোক।