
মো: মাসুদ রানা,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): জমিজমা বিরোধ নিয়ে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চাচী সহ তার ছেলেরা। চাচির ধারালো অস্ত্রের ধাওয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভাতিজ। ভয়ে আতঙ্ক ভাতিজা সহ তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মধুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আলী আকবরের ছেলে মোঃ সোলায়মান (৫৫) এর সাথে বিগত কয়েক বছর ধরে তার চাচাতো চাচী মিলি বেগমের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরত চলে আসছে। সকাল ৮:০০ ঘটিকায় সুলাইমান তার নিজেই বসতবাড়ি থেকে চলাচলের জন্য রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করে। হঠাৎ দুপুর বারোটার দিকে চাচি মিলি বেগম ও তার দুই ছেলে মনির ইসলাম ও মাইনুদ্দিনসহ মেয়ে জামাতা জহুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সোলাইমানকে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করেন।
সুলাইমান সহ বাড়ির সকলে
প্রাণের ভয়ে বাড়ির বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সুলায়মান জানান, এই জমি আমার বাপ-দাদা সম্পত্তি, তাদের বিন্দু পরিমাণে জমি নেই এখানে, আমার চাচতো চাচার মৃত্যুর পর থেকেই চাচাতো চাচী মিলি বেগম আমাদের বিভিন্ন জমিজমা তার জমি বলে দাবি করে। এই জমির উপরে দীর্ঘ তিন বছর আগেও রাস্তা হয়েছিল এবং আমরা সবাই চলাচল করছিলাম তখন বাধা হয়নি। এখন চাচি এসে বলছে জমি তার, এই জমি থেকে চলাচল করা যাবে না। তাই তারা জমির উপর কাটা দিয়ে বেড়া দিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় শাহাবুদ্দিন জানান ঘটনা সময় আমি এখানে ছিলাম মিলি বেগম সহ তার ছেলেরা এসেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুলাইমান চাচাকে ধাওয়া দিয়ে সকলের চলাচল করার রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরে তারা রাস্তার উপর বিভিন্ন গাছপালা দিয়ে বেড়া দিয়ে দেন ও পাশে থাকা কোদাল দিয়ে রাস্তার মাটি এলোমেলো করে রেখে চলে যায়। অপর স্থানীয় রাজমনি বলেন সুলাইমান চাচা তার বাড়ির চলাচলের রাস্তার কাজ করে হঠাৎ কয়েকজন ধারালো রামদা, দা সহ দারালো অস্ত্র নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। চলাচল করার রাস্তাটির মাঝখানে একটা নেট জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মিলি বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলে, ওই জমি আমার, আমার জমি থেকে তারা কেন মাটি কাটবে আর ওখানে আমার ছেলেরা ছিল জামাতা ছিলো না, আমার জমি আমি বেড়া দিয়েছি।
রাস্তার কাজের দিনমজুর বলেন, আমি এখানে মাটি কাটছিলাম মিলি সহ আরো তিন চার জন এসে বাড়ির মধ্যে দৌড় দেন কিছুক্ষণ পরে এসে রাস্তার মাঝখানে বেড়া দিয়ে দেয়। আমার কাছ থেকে কোদাল দিয়ে রাস্তার মাটি কেটে এলোমেলো করে রেখে যায় এবং কাজ না করার জন্য আমাকেও হুমকি দিয়ে যায়।