মোঃ সাহেব আলী,শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় পোরজনা ইউনিয়নের জামিরতা বাজারের, জামিরতা ডিগ্রি কলেজ মাঠে উৎসাহ এবং উদ্বিপনার মধ্য দিয়ে ফাইনাল খেলা শুরু হয়।
উক্ত ফাইনাল খেলায় ইউসুব ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন পোরজনা গ্রামের কৃতি সন্তন, তরুণ সমাজের আয়ডল ৬ নং পোরজনা ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবক প্রবাসী মোঃ মোশারফ হোসেন। উক্ত ফাইনাল খেলা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোশাররফ হোসেন ম্যালায়শিয়া থাকা অবস্হায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়াল যোগে উদ্বোধন করেন।
অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ এই ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে দুপুর থেকে নানা বয়সের দর্ষকের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায় জামিরতা ডিগ্রী কলেজের মাঠ প্রাঙ্গণ।
এ সময়ে দর্শকেরা আয়োজক কমিটি এবং প্রধান অতিথি মোশাররফ হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এ ধরনের ফুটবল খেলা যেন প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।
টান-টান প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয় আর্ধে জামিরতা জুনিয়ার ক্লাব এক শূন্য গোলে এগিয়ে যান। উক্ত খেলার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেড়া ইউনাইটেড ক্লাব সমতায় ফিরতে পারেননি। আর এর ওই প্রেক্ষিতে জামিরতা ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিজেদের নাম লেখান উক্ত টুর্নামেন্টে। জামিরতাকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখে খুশির জুয়ারে ভেসে পরেন জামিরতার জন সাধারণ।
এ ফুটবল টুর্নামেন্টের বিষয়ে বিশিষ্ট তরুন সমাজ সেবক প্রবাসী মোশারফ হোসেন বলেন: স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবলের এমন আয়োজন অব্যাহত থাকলে ভালো মানের প্লেয়ার বের হয়ে আসবে বলে আমি মনে করি। এতে করে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমি বলব শুধু জামিরতা তেই যে শুধু এ ধরনের খেলা আয়োজন হোক তা নয়, আমি চাই আমার পোরজনা ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই এ ধরনের ফুটবল খেলা আয়োজন করা হোক। আমি ইতিপূর্বে ও পোরজনা ইউনিয়নের অনেক গ্রামে ফুটবল,ক্রিকেট সহ অনেক ধরণের খেলা আয়োজন করে এসেছি, সামনের দিন গুলো তেউ আয়োজন করব।
মোশাররফ হোসেন আরো বলেন: বর্তমান সময়ের ছেলে-মেয়েরা মাদকের দিকে একটু বেশি ঝুকে পড়ছে, আর একমাত্র খেলাধুলাই পারে মাদক থেকে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের দূরে রাখতে। আমি যুবক সমাজের কথা মাথায় রেখেই এ ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্ট সহ নানা ধরণের খেলা ধুলার আয়োজন করি পোরজনা ইউনিয়নের ভিবিন্ন গ্রামে।
এ বিষয়ে আয়োজক কমিটি বলেন : আমি প্রথমেই মোশাররফ ভাইকে ধন্যবাদ জানাব। কারণ মোশারফ ভাই ছিলো বলেই আজকের খেলার ফাইনাল ম্যাচটা আমরা শান্তি পূর্ণভাবে শেষ করতে পেরেছি। মোশাররফ ভাই যে শুধু খেলাদুলায় থাকেন প্রধান অতিথি হিসাবে তা ভাবলে আমাদেরই ভুল হবে। কারণ আমরা প্রবাসী মোশাররফ কে এর আগে একটি কবরস্থান নির্মাণসহ কয়েকটি কবরস্থানের ভাঙ্গা অংশ ভরাট করে দিতে দেখেছি। তা ছাড়া রাস্তা ঘাটের ভাঙ্গা অংশ ঠিক করা সহ সামাজিক কাজের পাশাপাশি অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি।
পরে জয়ী দল সহ পরাজিত দলের মাঝে পুরুষকার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।