
গত ২৩ জুন ২০২৫ “অগ্রযাত্রা এক্সক্লুসিভ” নামক একটি
খাইরুল ইসলাম◾
ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয় একটি মানহানিকর ভিডিও প্রতিবেদন।
যেখানে ঝিনাইদহ জেলার একজন সংবাদকর্মী সৈয়দ আতিকুজ্জামান জনি,
নিজেকে ওই পেজের ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি দাবি করে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ইয়াসিন হাওলাদার নয়নকে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে উপস্থাপন করেন।
ভিডিও প্রকাশের পর ইয়াসিন হাওলাদার নয়ন নামক ওই ছাত্রদল কর্মী এক পাল্টা অভিযোগ তুলে ধরেন।
তার দাবি— ভিডিওটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার এবং এর পেছনে রয়েছে চাঁদা দাবির ভয়ঙ্কর চক্রান্ত।
নয়ন বলেন,
“ভিডিও প্রকাশের আগে আমার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়।
টাকা না দিলে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ভিডিও বানিয়ে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।”
তিনি আরও জানান, ওই হুমকির স্ক্রিনশট ও প্রমাণ তার কাছে সংরক্ষিত আছে এবং তা প্রশাসনকে জমা দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সৈয়দ আতিকুজ্জামান জনিকে গ্রেফতার করে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান—
“আসামি জনিকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, উক্ত ছাত্রদল কর্মীর ভিডিও প্রকাশের একদিন পর “অগ্রযাত্রা এক্সক্লুসিভ” পেজে আরও একটি পোস্ট করা হয়,
যেখানে দাবি করা হয়— ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস এম সমিনুজ্জামান সমিন অভিযুক্ত জনিকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন।
তবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এই ঘটনার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন— যাচাই না করে কাউকে অপরাধী বানানোর এই প্রবণতা শুধু ব্যক্তিকে নয়,
সমগ্র সমাজ ও গণমাধ্যমের ওপর আস্থা নষ্ট করে।