
★তামিম বিল্লাহ,সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে নদীতে জোয়ার-ভাটা ইকোসিস্ট অ্যাডাপ্টেশনের জন্য জনগণের পরিকল্পনা টিআরএম বাস্তবায়নে প্রভাব এবং শক্তির ফলাফল সম্পর্কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার(২৯ অক্টোবর)বিকালে সাতক্ষীরা সদরের শাল্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে এনজিও সংস্থা উত্তরণের ইবিএ প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন,৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো.নূরুল হুদা।
ইবিএ প্রকল্প কর্মকর্তা শেখ সেলিম আকতার স্বপন’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ পরিবেশ ও ভৌগলিক তথ্য পরিষেবা কেন্দ্রের সিইজিআইএস প্রতিনিধি কৃষিবিদ সিয়াম আহমেদ,আজিজুর রহমান,হাসান সাবিত, রায়হান হোসেন,ইউপি সদস্য সুভাষ চন্দ্র মন্ডল,মহিলা সদস্য মোছা.আফরোজা খাতুন,বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী অববাহিকার পানি কমিটির সভাপতি মো.মফিজুর রহমান,পানি কমিটির সদস্য মহুয়া মুন্জুরী,আক্তারুল ইসলাম, মো.আব্দুল ওয়াহাব,হাফেজ মো.আবুল কালাম, মোসলেমা খাতুন,স্থানীয় সুশীল সমাজ প্রতিনিধি মো.সাজ্জাদ হোসেন, মো.আব্দুল করিম,উত্তরণের প্রতিনিধি প্রফেসর হাসেম আলী ফকির,তানিয়া সুলতানা,আল আমিন মোড়ল,মো.মাসুম শেখ,মো.গোলাম হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের
নির্বাচনী ইশতেহারে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসন ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর নির্দেশনা অনুসারে টেকসই পলি ব্যাবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক নদী অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়নের বিষয়টি নির্বাচনী ইশতেহারের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলায় ৬০ লক্ষ লোকে বসবাস। দীর্ঘদিন যাবত এ এলাকা নদী ভরাট ও জলাবদ্ধতা সমস্যায় আক্রান্ত। নদীসমুহে জোয়ারের পানিতে আসা পলি সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে এ সমস্যা আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় সরকারের গ্রীহিত বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ তে এ অঞ্চলের মরিচ্চাপ,বেতনা,কপোতাক্ষ, শ্রী হরি, ভদ্রা, ঘ্যাংরাইল ও হামকুড়াসহ ৭ টি নদীর অববাহিকায় টেকসই পলি ব্যাবস্থাপনার জন্য মোট ৩৮ টি বিলে জোয়ার ভাটার নদী ব্যবস্থাপনা প্রকল্প/ Tidal Riv Managenent (TRM) বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের বেতনা ও মরিচ্চাপ আববাহিকার ১২ টি বিলে টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর নির্দেশনা আছে। বর্তমানে এ নদীর পলি অপসারণের কাজ চলছে। কিন্তু নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য টিআরএম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।ফলে জোয়ারের পানিতে আসা পলি নদীতে জমে নদীগুলো ভরাট হয়ে যাবে ও আবারো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এক এলাকার উৎপাদন ব্যবস্থাসহ পরিবেশ প্রতিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছে। অতএব এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস, নদী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় টেকসই পলি ব্যাবস্থাপনার জন্য প্রত্যেক নদী অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়নের বিষয়টি সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সংযুক্ত করার জন্য সুপারিশ জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন,অনতিবিলম্বে বেতনা ও মরিচাপ অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়ন করা। এতে বর্তমানে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে তা কার্যকরী ও ফলপ্রসূ হবে।পোল্ডার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ আবদ্ধ নদীগুলো মুক্ত করে ইছামতি,মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীর সাথে যোগ প্রদান করা।এতে এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা,পরিবেশ-প্রতিবেশ ও পানি সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার সহ সার্বিক বিষয়ের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে।সকল ধরণের কর্মকান্ডে জনগণকে যুক্ত করা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সমূহের সমন্বয় নিশ্চিত করা।