নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে মহাসমাবেশকে ঘিরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এসময় প্রতিটি যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের ব্যাপক তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ঘুরে এ চিত্রের দেখা মিলে।
এদিকে দফায় দফায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।
দেখা গেছে, প্রতিটি চেকপোস্টে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশের উপস্থিততে ঢাকাগামী দূরপাল্লাসহ ছোটখাটো পরিবহন আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে থাকা মালামাল তল্লাশি করছে তারা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবি মানুষদের।
এদিকে সাধারণ যাত্রীরা বলছে, দু’দলের কর্মসূচি ঘিরে প্রায় অসহায় হয়ে পরেছে তারা। সময় মতো কর্মস্থলে পৌছাতে না পেরে বিভিন্ন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তাদের। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা নিজেদের আক্রোশের কারণে জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগে সাধারণ মানুষের।
কামরুল নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, জরুরি কাজে বড় বোনের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়েছি। সাইনবোর্ড আসতে আসতে বেশ কয়েকটি যায়গায় পুলিশ আমাকে চেক করেছে। এতে আমার অনেক সময় নষ্ট হয়েছে।
তবে লক্ষ্য করা গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গাড়ি চলছে নির্বিঘ্নে। তাদের কোনো গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করছে না পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সমাবেশকে ঘিরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এসব তল্লাশি করা হচ্ছে। কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে। শুধুমাত্র জনস্বার্থেই নিয়মিত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা বলেন, ঢাকায় দুই দলেরই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশকে ঘিরে কেউ যেনো কোনো বিশৃঙ্খলা কিংবা নাশকতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।