বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জোহাল মাটাই ও টেমা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ট, মাওলানা বেলাল হোসেন এর বিরুদ্ধে আওয়ামী শাসনামলে, আওয়ামী ক্ষমতাকে ব্যবহার করে, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ হোসেনের সহযোগিতায়, নিয়োগ বাণিজ্য সহ প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী।
গত ০৩/১২/২৪ ইং রোজ মংগলবার অনুমানিক সময় বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এলাকার প্রায় পাঁচশতাধিকের মত
মহিলা একযোগ মাদ্রাসা সুপার বেলালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন ও পদত্যাগের দাবি তোলেন।
উক্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে দৈনিক ভোরের চেতনা টিম এলাকায় তথ্য সংগ্রহে গেলে এলাকাবাসী জানান, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালীন সময়ে এলাকার মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে অনেকেই বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন এই প্রতিষ্ঠানে।
তার মধ্যে অন্যতম একজন আলহাজ্ব আব্দুল করিম সাকিদার, যার অবদানের কথা এলাকাবাসী আজও ভুলতে পারেনি। আলহাজ্ব আব্দুল করিম সাকিদার উপজেলার একজন বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী তার সংগ্রামী জীবন আজ তাকে টাকাওয়ালা করেছে কিন্তু গ্রামের অন্যদের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন।
একসময় তার মনে হলো আল্লাহ তাকে সম্পদ দিয়েছে এখন পরকালীন জীবনের জন্য ভালো কোন কাজের সাথে থেকে বাকি জীবন সে কাটাতে চায়।
তাই সে মাদ্রাসার সভাপতি হয়ে উন্নয়নের হাল ধরেন।
একসময় তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করতেন, অসহায় গরিব ছাত্রদের পড়াশোনার খরচ চালাতেন,,পোশাক কিনে দিতেন, বই খাতা কিনে দিতেন, এমনকি মাদ্রাসার অবকাঠামগুলো আস্তে আস্তে মাটির দেয়াল ভেঙ্গে ইটের ইমারত গড়েন।
এমনকি মরনের পরেও তিনি থাকতে চান এই মাদ্রাসার সাথে। তাই তার কবরস্থানটা মাদ্রাসার পাশেই মসজিদ সংলগ্ন তিনি ঠিক করে রেখেছেন।
অথচ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে দলীয় ক্ষমতা বলে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান কে বানানো হয় আওয়ামী লীগের পদ ব্যবহার করা সেই সময়ের সভাপতি ফিরোজের সহায়তায় মাদ্রাসার সুপার বেলালের অনিয়মের আয়না ঘর।
পরপর কয়েকটি নিয়োগে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মত দুর্নীতির অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
৫ ই আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর এলাকাবাসী তার কাছে প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে হিসাব চাইতে গেলে তিনি অস্বীকার করেন এবং শাক দিয়ে শুট শুটকি ঢাকার অভিনয় করছেন বলে জানান এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
এলাকাবাসী আরো জানান দুপচাঁচিয়া তে বর্তমান রাজনৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের ফায়দা নিয়ে সমস্ত অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার পায়তারা চলছে।
এলাকাবাসীর দাবি আনিতো অভিযোগের ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন সঠিক বিচার করবে বলে এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন।