পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নাজিরপুরে শেখ রাসেল দিবস পালন না করে ঐ সময় জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানীকর ও মিথ্যা অভিযোগ এনে মানববন্ধন করার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (ইংরেজী) এইচ এম লাহেল মাহামুদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র “শহীদ শেখ রাসেল” এর ৬০ তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৪ সালের এই দিনে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম নেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট মানবতার ঘৃণশত্রু,খুনি ও ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। নরপিচাশরা তাকে ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার কারনে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তনুযায়ী শহীদ শেখ রাসেলকে স্মরণ করতে এই দিনটি “শেখ রাসেল দিবস” হিসাবে পালিত হচ্ছে। অথচ সেই দিনে অভিযুক্ত শিক্ষক লাহেল মাহামুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে শেখ রাসেল দিবস পালন না করে অনুপ কুমার সিকদার (দৈনিক ইত্তেফাক), শফিকুল ইসলাম (দৈনিক সংবাদ), মোঃ হাসান তালুকদার (দৈনিক মানবজমিন), এস এম জাহিদ হক (দৈনিক ইনকিলাব), মোঃ মশিউর রহমান (দৈনিক যায়যায় দিন) পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ গেইটে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মানহানীকর একটি মানববন্ধন করেন।
উল্লেখ্য উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাক সাংবাদিক অনুপ কুমার সিকদার’কে কু-রুচিপূর্ণ ভাষায় গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি বাদী হয়ে নাজিরপুর থানায় গত ১২ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডাইরী করেন যাহার ডাইরী নং-৯৮১ এবং ১৫ ই অক্টোবর উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে সকাল ১১ টায় ঘন্টাব্যাপী উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত করা হয়েছে।
এব্যাপারে নাজিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান তুহীন জানান,গত ১৫ ই অক্টোবর ইত্তেফাক সাংবাদিক সহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা এবং সর্বস্তরের জনগণ একটি মানববন্ধন করেছে তবে আজকের মানববন্ধনের কথা কেহ আমাকে জানায়নি এবং আমি কিছুই জানি না।
এবিষয়ে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার তার মুঠো ফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহিদুল ইসলাম বলেন, এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্যারকে বলেন, তিনি আমাকে যে ব্যবস্থা নিতে বলবেন আমি সেই ব্যবস্থা নিব।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, আমি বিষয়টি আপনার কাছে শুনলাম, তদন্ত করে দেখব।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি মোঃ মোশারেফ হোসেন খান জানান,এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে উক্ত শিক্ষক’কে তাৎক্ষনিক বরখাস্ত করা উচিৎ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা:সঞ্জীব দাশ জানান, বিষয়টি আমি জানলাম,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করব।