নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে কোনোধরনের নাশকতা বা সহিংসতা সৃষ্টি করে জানমালের ক্ষতির চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আইজিপি বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেন সুষ্ঠুভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে তাদের শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে, এর জন্য আমরা একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের সবার পাশে আছি। আমরা বিভিন্ন পূজা মন্ডপে গিয়ে আশ্বস্ত করেছি, তারা যেন নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে তার জন্য পুলিশ সবসময় পাশে রয়েছে।’
আইজিপি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত বাকি দিনগুলো গত বছরের মতো এবারো উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হবে।’
বিএনপির চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে দুর্গাপূজায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা নেই। তবে কেউ যদি মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা তাই করব। সকল পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমরা সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করেছি।’
পরে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নগরীর বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশিং-এর সভাপতি সভাপতি প্রবীর সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।