এস,এম রবি,ঝিনাইদহ সংবাদদাতা: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হামিরহাটি গ্রামের প্রবাসী আমিরুল ইসলামে ছেলে মো: সিয়াম (১৪), পিতা দেশের বাহিরে থাকার সুবাদে অপ্ল বয়সেই হাতে দামি মোবাইল নিয়ে ঘোরা ফেরা আর সেখান থেকেই পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রতিবেশির পাঁচ বছরের কন্যা শিশুকে ( নিরাপত্তার জন্যে পরিচয় গোপন রাখা হলো) ধর্ষণ করেছে,ঘটনা জানাজানি হলে লম্পট সিয়াম পালাতক রয়েছে। অন্যদিকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে অবুঝ শিশু।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে হামিরহাটি গ্রামে একটি হনুমান আসে, সেই হনুমান দেখতে গ্রামের বাচ্চারা ভিড় করে করলে লম্পট সিয়াম সেখান থেকে বাচ্চা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে সিয়ামের নিজ বাসায় বাথরুমের ভিতরে পাশবিক নির্যাতন করে। ঘটনার পরেই রাতে বাচ্চা মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঝিনাইদহ সদর হসপিটালে অসংখ্যা জনক অবস্থায় ভর্তি করা করা হয়। আজকে মেয়ের পিতা মো: খাইরুল ইসলাম এই বিষয়ে হরিনাকুন্ডু থানায় বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সরেজমিনে উপস্থিত হলে গ্রামের মহিলারা জনান, সিয়াম বাচ্চা মেয়েটিকে ধর্ষন করেছে এবং সিয়ামের মা বাথরুমের রক্ত পরিষ্কার করেন ও সিয়ামকে মারধর করে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল হরিনাকুন্ডু থানার ওসি তদন্ত খায়ের এবং এস আই গিয়াসউদ্দিন পরিদর্শন করেন ও প্রথমিক তদন্ত করেন। এবিষয়ে হরিনাকুন্ডু থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: আবু আজিফ এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের ওসি তদন্ত খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন,আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিবো।
এদিকে, সিয়ামের পরিবার প্রভাবশালী হবার কারনে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বলেও জানান ভুক্তভোগী পরিবার,এবিষয়ে কন্যা শিশুটির মা, বাবা ও এলাকাবাসী কঠোর বিচারের দাবি করেছেন।