খুলনা প্রতিনিধি:খুলনার পাইকগাছায় জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর শত শত গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা তছরুপ-আত্মসাৎ এর অভিযোগে ভুক্তভোগীরা বিক্ষেোভ মিছিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সমিতির গরীব, অসহায়, প্রতিবন্ধী মানুষেরা তাদের আমানতকৃত টাকা পেরৎ পেতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়ে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময়ে ভুক্তভোগীরা জানান, বিগত ছয় মাস আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক জাকির হোসেন এর মাধ্যমে সমিতি কতৃপক্ষ আমাদের টাকা পরিশোধ করবে মর্মে সময় নিয়ে ছিলো। বর্তমানে ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আমাদের পাওনা টাকার কোনো সমাধান হয়নি। সমিতি’র মালিক-কর্মচারীরা আমাদের হয়রানী করছেন। এদের মধ্যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা,ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভিলেজ পাইকগাছার বাসিন্দা লাশকাটা মতিন জানান, বইয়ের মেয়াদ শেষ হবার পরেও,সমিতি’র কোন টাকা দিতে পারছে না, যার ফলে টাকার অভাবে তিনি মেয়ের বিবাহ দিতে পারছেন না। মতিন সহ উপস্থিত সমিতি সদস্যরা বলেন,জোনাকি সমবায় সমিতি লিঃএর মালিক কাউন্সিলর আলাউদ্দীন গাজী,মোহাম্মদ আলী গং ও সমিতি আদায়কারী কবিতা রানী দাশ ও সালমা সমিতি’র হিসাব-নিকাশ নিয়ে একাধিক বসাবসি করলেও কোন সমাধান মেলেনি।
মালিক কর্মচারীরা টাকার হিসাব নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। যার ফলে দীর্ঘদিন গ্রাহকদের আমানতে’র টাকা পাচ্ছেনা। এতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে এমনকি অনেকের সংসার ভাঙার পথে এমন মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরিস্থিতির এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের মাঠে শত-শত মানুষের বিক্ষোভ দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দু’ভাইস চেয়ারম্যান এগিয়ে আসেন। এসময়ে ভুক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙে পড়ে টাকার উদ্ধার দাবীতে আকুল আবেদন জানান।
এদিকে উল্লেখিত বিষয়গুলো শুনে বোঝার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন ভুক্তভোগী গরীবের টাকা আদায়ের ব্যাপারে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার কথা বলেন। পাশাপাশি বলেন জনপ্রতিনিধি বা মালিক যেই হোক কেউ আইনের উর্ধে নয়। তিনি তদন্ত করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, লিপিকা ঢালী ও ব্যবসায়ী সমাজ সেবক জাকির হোসেন বিক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে স্ব-স্ব বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।