খুলনা প্রতিনিধি:খুলনার পাইকগাছা পৌরসভার সরলস্ত বাজারের বহুল আলোচিত জোনাকি সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজী ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাইকগাছা পৌরসভার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উল্লেখিত সমিতির আদায়কারী কবিতা রানী দাস – গত ইং- ২৬/০৯/২০২৩ তারিখ, ১০৭,১১৭(সি) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেছে, মামলা নং- এম,পি ৯৯/২০২৩ তারিখ। উক্ত মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিবাদীদেরকে কারন দর্শানোর জন্য আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা পৌরসভার তিন তিনবার নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানী দাস পাইকগাছা পৌরসভাধীন সরল গ্রামের জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর মৌখিকভাবে সামান্য একজন আদায়কারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন, সে মতে কবিতা রানী দাস সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা সহ সদস্যদের জমা বই এবং পাস বইতে টাকার অংক লিখে দিয়ে উক্ত আদায়ের টাকা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজীর কাছে জমা দেন। যাহার জমা প্রদানের রশিদ বা প্রমান কবিতা রানী দাস এর কাছে রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি উল্লেখিত সমিতির কতৃপক্ষ সমিতির আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় সমিতিটি বেআইনি ভাবে পরিচালনা করায় অর্থ তছরুপ করে উহা বন্ধ করে দেওয়ায়। উক্ত সমিতিতে যারা টাকা জমা দিয়েছে, তাহারা তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছে না। এজন্য সমিতির সদস্যরা সমিতি কতৃপক্ষের কাছে টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে। সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজী নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে আদায়কারী কবিতা রানী দাস কে দোষারোপ করছে। পাশাপাশি কবিতা দাস এর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ সহ নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করে কবিতা দাশকে অযথা ও মিথ্যা অপপ্রচার সহ নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আরো উল্লেখ করেন, সমিতির সহজ সরল সদস্য দের কবিতা দাশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।
এমতাবস্থায় সর্বশেষ গত ইং- ২০/০৯/২০২৩ তারিখ বুধবার সকাল ৯ টার দিকে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজী সহ অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে কবিতা দাশের বাড়ীতে যেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে। কবিতা দাশ প্রতিবাদ করলে বিবাদী মোহাম্মদ আলী গাজী ও আলাউদ্দিন গাজী কবিতা দাশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে খুন জখম করতে উদ্যত হয় ও অজ্ঞাতনামা লোকজন দারা কবিতা দাশকে যেখানে পাবে সেখানেই অপমান অপদস্ত সহ সন্মানহানী ও খুন জখম করবে মর্মে হুমকি দেয়। আরো বলেন, তুমি সমিতির টাকা আত্মাসাৎ করেছো- তোমাকে দেড় কোটি টাকা দিতে হবে। তখন কবিতা দাশ বিবাদীদের কাছে দেড় কোটি টাকার হিসাব চাইলে বিবাদীদ্বয় বলে হিসাব নিকাশ বুঝি না টাকা চাই টাকা দিতে হবে। মামলায় আরো উল্লেখ করেন তাৎক্ষণিক উক্ত মামলার স্বাক্ষীরা কবিতা দাশ কে উদ্ধার না করিলে ঘটনাস্থলে খুনখারাবি ঘটতো। সবশেষে বিবাদী মোহাম্মদ আলী গাজী ও আলাউদ্দিন গাজী আস্ফালন করে বলে, আজ হোক কাল হোক কবিতার কাছ থেকে টাকা আদায় করবে নইলে খুন জখম করবে।
সেকারণে কবিতা দাশ ও তার পরিবার পরিজন সহ স্বাক্ষীরা, বিবাদী পক্ষের হুমকিতে ভীত হয়ে পড়ায়। আইনের মাধ্যমে বিবাদী পক্ষদের বিরত রাখার স্বার্থে উক্ত মামলাটি গত- ইং ২৬/০৯/২০২৩ তারিখে, ১০৭, ও ১১৭(সি) ধারার বিধান মতে অগ্রিম শান্তিরক্ষার মুচলেকার জন্য করেছেন মর্মে প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে।