সুমন,মোংলা থানা সংবাদদাতা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রামপাল-মোংলায় আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক ও উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড উপলক্ষে সমাবেশ করেছেন মোংলার আ’লীগ নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার এর সভাপতিত্বে পৌর মার্কেটের সামনে মোংলা উপজেলা ও মোংলা পৌরবাসীর ব্যানারে তিন ঘন্টা ব্যাপী এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। অন্যথায় এদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে। এ উন্নয়নকে অব্যহত রাখতে বাংলাদেশ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ বেগম হাবিবুন নাহারকে আবারো নৌকা মার্কা মনোনয়ন দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
বক্তারা আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। তাই আ’লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধারন জনগনের মাঝে তুলে ধরতে হবে। নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগনের কাছে তুলে ধরে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে হবে।
১৯৯১ সাল থেকে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনটি এখন পর্যন্ত খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক পরিবারের দখলে। এর মধ্যে চারবার তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তিনবার তার পত্নী বেগম হাবিবুন নাহার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই দীর্ঘ সময়ের শাসনামলে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপি জামায়েতর সুরে কথা বলছেন দলের ভেতরে থাকা স্বার্থান্বেষী কিছু বিপদগামী নেতা। তাদের চোখে নাকি কোন উন্নয়ন হয়নি। তারা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নতুন প্রার্থী খুঁজে বেড়াচ্ছেন। অথচ দল ক্ষমতার সুযোগে তারাই বেশি সুবিধা নিয়েছেন। বিগত সময়ে দলের ভেতরে ঢুকে যারা ধান্দাবাজি চাঁদাবাজি করতে পারেনি মূলত তারাই এখন বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন। তাই তাদের চোখে উন্নয়ন চোখে পড়ছেনা। অথচ মোংলা-রামপালে যত উন্নয়ন হয়েছে আ’লীগের আমলেই হয়েছে। এখন তারা দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে নানা রকম প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছেন। তাতে দলের কোন ক্ষতি হবেনা। বরং দলেরই উপকার হবে। কারণ দল এদের চিহ্নিত করতে পেরেছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো: তারিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন্নাহার হাই, আ’লীগ নেতা শেখ আব্দুস সালাম, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার, চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হেসেন, সোনাইলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম, সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ কবির উদ্দিন এছাড়া উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উন্নয়নের প্লেকার্ড বহন করে এসময় মুর্হুমূহ শ্লোগান দেন সভায় আসা কয়েক হাজার নেতা কর্মী।