
মোঃ সাহেব আলী,শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রবাসী মোশাররফ হোসেনের উদ্বেগে পোরজনা ইউনিয়নের উল্টাডাব গ্রামে কর্বস্হানের ভিতর ভাঙ্গা অংশ ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৬) এ অক্টোবর বিকাল ৩.৩০ টায় উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের উল্টাডাব কর্বস্হানের সামনে মোশাররফের পিএসের এর মাধ্যমে কর্বস্হান কমিটির কাছে অর্থ হস্তান্তর করেন মোশাররফ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোশাররফের পিএস মোঃ রোমজান সহ উল্টাডাপ কবরস্থানের পক্ষে মুসা সরদার, জয়নাল আবদিন, জাহাঙ্গীর আলম, আলামিন হোসেন, ও হারুনুর রসিদ প্রমুখ সহ এলাকার জনসাধারণ। এসময় উল্টাব গ্রামের কর্বস্হানের কাজে মোশাররফকে এগিয়ে আসার জন্য এলাকার ব্যাক্তি বর্গ মোশাররফকে ধন্যবাদ জানিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং মোশাররফ হোসেনের জন্যে সৃষ্টি কর্তার কাছে দোওয়া প্রার্থনা করেন।
তারা আরো বলেন পোরজনা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মোশাররফকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের সমাবেশ করে আসছে আমরা তা দেখেছি। আর তাদের এ দাবির কারণ হয়তো মোশারফ বিভিন্ন জায়গায় দান করে থাকেন এর জন্যেই। আসলে দানের জন্যই যে একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে সবাই চাইবে তা নয়, আসলে মোশারফ ছেলে হিসেবে খুব ভালো এর জন্যই হয়তো সবাই মোশারফকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাচ্ছে। এখানে আমরা উপস্থিত যতগুলো মানুষ আছি আমাদেরও দাবি মোশারফ যেন পোরজনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনসাধারণের অধিকার বুঝিয়ে দিতে পারেন।
এ বিষয়ে মোশাররফ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান: আমি পোরজনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য দান করি না। আমার কাছে গরীব দুঃখীদের দুঃখ দেখলে ভালো লাগেনা। আর তার প্রেক্ষিতেই বিভিন্ন জায়গায় দান করে আসছি। আমি এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক কাজ করেছি তারমধ্যে অন্যতম হলো:- পোরজনা ইউনিয়নের সামনে একটি বেহাল রাস্তা কে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি ঠিক করে দিয়েছি। এ ছাড়া পোরজনাতে প্রায় ৩০ লাক্ষ টাকা খরচ করে একটি নতুন কর্বস্হান নির্মাণ করেছি। যুবসমাজ জেনো মাদকাসক্তিতে আসক্ত না হয় এর জন্য প্রায় প্রতি বছরই পোরজনা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। এ পর্যন্ত আমি প্রায় ৪০ টি মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত গ্রহণ করেছি। ইতিপূর্বে এলাকার গরিব ঘরের মেয়েদের যে বাবারা অর্থের অভাবে বিয়ে দিতে পারেন নাই তাদেরকে আমি অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছি। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট তৈরিতে আমার সাধ্য অনুযায়ী টাকা দিয়ে থাকি যাতে করে মানুষের চলাচলের কষ্ট লাঘব হয়। করোনা কালীন সময়েও আমি অনেক দান করেছি, ইনশাল্লাহ সামনের দিনগুলোতেও আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমি দান করে যাব।