Dhaka ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ভোধন বগুড়া দুপচাঁচিয়া পৌরসভার প্রশাসকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বগুড়ার কাহালুর দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপিনেতা মরহুম আব্দুস সামাদের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অধিগ্রহণকৃত ভুমির মূল্য পরিশোধসহ পুনর্বাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন বিএনপির নেতার পারিবারিক উদ্যোগে কম্বল বিতরণ হৃদয়ে সৈয়দপুর সংগঠনের সহযোগিতায় প্রাণ ফিরে পেল রশিদুলের দোকান রৌমারীতে বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় চারটি গরু উদ্ধার নওগাঁয় ডাকাতিসহ গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আন্তঃজেলার ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার খুলনা নগরীর শিববা‌ড়ি মো‌ড়ে যৌথ বাহিনীর অভিনব কায়দায় শাস্তি লালপুরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

বগুড়ার বিখ্যাত মহাস্থান হাটে সবজির বাজারে ধস, ফুলকপি ৩ টাকা মুলা ৫ টাকা কেজি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৯:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪৫ Time View

মোঃ হারুন অর রশিদ,
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: সোমবার সকাল আটটার সময় বিখ্যাত মহাস্থান হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শীতের সবজিতে ভরপুর উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সবজির পাইকারি বগুড়ার মহাস্থানহাট। শীত মৌসুমে মহাস্থানহাট প্রাঙ্গণে প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজি দেখা গেছে৷ ডিসেম্বরের শুরুতেই সবজির দাম অনেক ভাল ছিল। বাজারে ব্যাপক আমদানির ফলে দামে ধস পড়েছে বগুড়ার বিখ্যাত পাইকারি মোকাম মহাস্থানহাট। এতে ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এলেও অস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে কৃষকেরা, কাক ডাকা ভোর থেকে সারি সারি অটোভ্যান, ভটভটি, মিনি ট্রাক ও হলার যোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত শীতের সবজি নিয়ে মহাস্থানহাটে বিক্রির জন্য এসেছে। শীতের চমকপ্রদ সবজির তরতাজা দৃশ্যটি দেখে মনে হচ্ছিল কৃষকদের যেন এক মিলন মেলা। হাটের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত সবজি আর সবজি। বগুড়ার এ হাটে এতটাই সবজির আমদানি যে হাটের জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা অন্য সবজিবাহী যানবাহনদের অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। এ সবকিছুই যেন সাজানো গুছানো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাজারে সবজি নিয়ে এসে কৃষকদের এখন পরিবহন খরচ মিলছে না। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুর্দশা আর হতাশায় ভুগছে এ অঞ্চলের কৃষক।
মোকামতলা থেকে মহাস্থান হাটেরে ফুল কপি বিক্রি করতে আসা কৃষক আজিজার রহমান বলেন,
আমাদের উৎপাদিত সবজি আমরা মহাস্থানহাটে
বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমান আজকে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকে দিতে হবে।
সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের গৌরিদাসপুর গ্রামের কৃষক সুজন মিয়া জানান, ২০শতক জমিতে ফুল কপি চাষ করেছি। লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বছরে তেল সার কীটনাশক ও বীজের আকাশ ছোয়া দাম। একারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কিন্তু অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই। শুধু কৃষকেরাই নয় বাজার এমন ধসের কারনে খুচরা বিক্রেতাও ধাক্কা খাচ্ছেন। মহাস্থান হাটের খুচরা সবজি বিক্রেতা শ্রী নির্মল রাজভর জানান, সবজির দাম বেশি থাকলে তাদের লাভও ভালো হয়। আগে এক কেজি সবজি বিক্রি করলে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি ২ থেকে ৫ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। আজ যে দামে সবজি কিনছি রাতেই তার দাম অর্ধেকে নামছে। সবজির দরপতনের কারনে আমাদের চালান তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মহাস্থান সবজির পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ফুল কপি ৩ টাকা কেজি (১২০ টাকা মণ) , মুলা ৫টাকা কেজি (২০০ টাকা মণ) প্রতি কেজি নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি (২হাজার টাকা মণ), টমেটো, ৫০ টাকা কেজি, ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ২০ থেকে থেকে ৪০ টাকা, শসা ৩০, করলা ৫০ টাকা কেজি, পটোল ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বিচিওয়ালা শিম ১৫ টাকা কেজি, গোল বেগুন ২০ থেকে টাকা কেজি, পেঁপে ২০টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা কেজি, পাতা পেয়াজ ২৫ টাকা কেজি, ধনে পাতা ২০ টাকা কেজি।
হাটে অন্যান্য সবজির দাম নিম্নমুখিই দেখা গেছে।
মহাস্থান হাট কাঁচা ও পাকা মাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, শীত শুরুতেই সবজির দাম ছিল স্বাভাবিক। হঠাৎ ২ দিনে বাজার ধস নেমেছে৷ এর কারণ হিসেবে তিনি পর্যাপ্ত উৎপাদন ও আমদানি কে দায়ী করছেন। প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সবজি হাটে দেখা গেছে। মহাস্থান হাটের সবজি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। শীত মৌসুমে সবজির কারনে মহাস্থান হাটে কর্মস্থান যুগেছে শতশত নারী/পুরুষ লেবার শ্রমিকদের৷ সুফল ঘটেছে পরিবহন ব্যবসায়ীদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ভোধন

বগুড়ার বিখ্যাত মহাস্থান হাটে সবজির বাজারে ধস, ফুলকপি ৩ টাকা মুলা ৫ টাকা কেজি

Update Time : ০৮:১৯:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মোঃ হারুন অর রশিদ,
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: সোমবার সকাল আটটার সময় বিখ্যাত মহাস্থান হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শীতের সবজিতে ভরপুর উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সবজির পাইকারি বগুড়ার মহাস্থানহাট। শীত মৌসুমে মহাস্থানহাট প্রাঙ্গণে প্রচুর পরিমাণে শীতের সবজি দেখা গেছে৷ ডিসেম্বরের শুরুতেই সবজির দাম অনেক ভাল ছিল। বাজারে ব্যাপক আমদানির ফলে দামে ধস পড়েছে বগুড়ার বিখ্যাত পাইকারি মোকাম মহাস্থানহাট। এতে ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এলেও অস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে কৃষকেরা, কাক ডাকা ভোর থেকে সারি সারি অটোভ্যান, ভটভটি, মিনি ট্রাক ও হলার যোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত শীতের সবজি নিয়ে মহাস্থানহাটে বিক্রির জন্য এসেছে। শীতের চমকপ্রদ সবজির তরতাজা দৃশ্যটি দেখে মনে হচ্ছিল কৃষকদের যেন এক মিলন মেলা। হাটের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত সবজি আর সবজি। বগুড়ার এ হাটে এতটাই সবজির আমদানি যে হাটের জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা অন্য সবজিবাহী যানবাহনদের অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। এ সবকিছুই যেন সাজানো গুছানো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাজারে সবজি নিয়ে এসে কৃষকদের এখন পরিবহন খরচ মিলছে না। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে দুর্দশা আর হতাশায় ভুগছে এ অঞ্চলের কৃষক।
মোকামতলা থেকে মহাস্থান হাটেরে ফুল কপি বিক্রি করতে আসা কৃষক আজিজার রহমান বলেন,
আমাদের উৎপাদিত সবজি আমরা মহাস্থানহাটে
বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমান আজকে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকে দিতে হবে।
সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের গৌরিদাসপুর গ্রামের কৃষক সুজন মিয়া জানান, ২০শতক জমিতে ফুল কপি চাষ করেছি। লাভ তো দূরের কথা খরচের টাকা তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বছরে তেল সার কীটনাশক ও বীজের আকাশ ছোয়া দাম। একারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কিন্তু অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নেই। শুধু কৃষকেরাই নয় বাজার এমন ধসের কারনে খুচরা বিক্রেতাও ধাক্কা খাচ্ছেন। মহাস্থান হাটের খুচরা সবজি বিক্রেতা শ্রী নির্মল রাজভর জানান, সবজির দাম বেশি থাকলে তাদের লাভও ভালো হয়। আগে এক কেজি সবজি বিক্রি করলে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি ২ থেকে ৫ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। আজ যে দামে সবজি কিনছি রাতেই তার দাম অর্ধেকে নামছে। সবজির দরপতনের কারনে আমাদের চালান তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মহাস্থান সবজির পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ফুল কপি ৩ টাকা কেজি (১২০ টাকা মণ) , মুলা ৫টাকা কেজি (২০০ টাকা মণ) প্রতি কেজি নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি (২হাজার টাকা মণ), টমেটো, ৫০ টাকা কেজি, ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ২০ থেকে থেকে ৪০ টাকা, শসা ৩০, করলা ৫০ টাকা কেজি, পটোল ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বিচিওয়ালা শিম ১৫ টাকা কেজি, গোল বেগুন ২০ থেকে টাকা কেজি, পেঁপে ২০টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা কেজি, পাতা পেয়াজ ২৫ টাকা কেজি, ধনে পাতা ২০ টাকা কেজি।
হাটে অন্যান্য সবজির দাম নিম্নমুখিই দেখা গেছে।
মহাস্থান হাট কাঁচা ও পাকা মাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, শীত শুরুতেই সবজির দাম ছিল স্বাভাবিক। হঠাৎ ২ দিনে বাজার ধস নেমেছে৷ এর কারণ হিসেবে তিনি পর্যাপ্ত উৎপাদন ও আমদানি কে দায়ী করছেন। প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সবজি হাটে দেখা গেছে। মহাস্থান হাটের সবজি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। শীত মৌসুমে সবজির কারনে মহাস্থান হাটে কর্মস্থান যুগেছে শতশত নারী/পুরুষ লেবার শ্রমিকদের৷ সুফল ঘটেছে পরিবহন ব্যবসায়ীদের।