মোঃ সাদেকুল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
দেশের অধিকাংশ জেলায় সাম্প্রতিক সময়ে অটো ছিনতাই এর ঘটনা আশংকাজনকভাবে বেড়েছে।একাধিক স্থান থেকে অটো ছিনতাই করার পর চালকে হত্যার ঘটনাও নতুন নয়।ঘটনার ধারাবাহিকতায় লালমনিরহাট জেলাও এর বাইরে নয়।বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ মামলার সুত্র ধরেই দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় অভিযান পরিচলনা করে এই সিন্ডিকেটের ২ নারী সদস্য সহ ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওমর ফারুক এর দিন নির্দেশনায় শনিবার (২১অক্টোবর) থানার এসআই খুরশীদ আলম এর নৈতৃবে একটি চৌকস টিম আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি প্রয়োগের গ্রেফতার করে রোববার লালমনিরহাটব জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মন্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লালমনিরহাট সদর থানা সুত্র জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অটো চোর চক্রের সদস্যদের অবস্থান নির্নয় করা হয়। পরে ময়মনসিংহ, গাজীপুর এবং রংপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃ জেলা অটো চোর চক্রের ০২ জন মহিলা সদস্যসহ ০৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর উদাতিয়ার কান্দিপাড়া এলাকার দুলাল মিয়া স্ত্রী হালিমা বেগম (২৭) ও মানিক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৭), গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী উপজেলার বাইমাইল পূর্বপাড় এলাকার রানা মিয়ার স্ত্রী বেগম ওরফে ফাতেমা (২৩), রংপুর জেলার হারাগাছ উপজেলার নিউ কাজীপাড়া কসাইটারী এলাকার মৃতঃ আঃ মালেকের ছেলে মেহেদী হাসান রিয়েল (২৭) ও ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার কাশর চৌরাস্তা এলাকার মৃতঃ রুস্তুম আলী ছেলে আসামী মোঃ এবাদুল হক (৩৭)।
মামলার বাদী অটো চালক ০৪ আগষ্ট সকাল ১০টায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী বাজারে অবস্থান কালে ০২ জন বোরকা পরিহিত অজ্ঞাত মহিলা নিজেকে যাত্রী সেজে এদের একজন গর্ভবর্তী পরিচয় দিয়ে অটোচালকে কৌশেলে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া অটো চোর চক্রের অপর সদস্যগন কর্তৃক কৌশলে বাদীর চালিত অটো ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। অটো রিকশাটির মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা ও মোবাইল ফোনের মূল্য ২১ হাজার টাকা।
পরে এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ০৭, তারিখ ০৭/০৯/২০২৩ ইং ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়।
ধৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অটো চুরির কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের নিকট থেকে বাদীর চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকালে আটক আসামীদের আদালতে নিলে তারা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক দৈনিক ক্রাইম তলাশের প্রতিনিধিকে জানান । এরকম কিছু আরো অপরাধীর তথ্য আমাদের কাছে আছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।