নেএকোনা (কেন্দুয়া) প্রতিনিধি: নেএকোনা কেন্দুয়ায় ঠিকাধারী প্রতিষ্টানের গাফিলতি ও নির্মাণ সামগ্রির মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ভরাপাড়া কামিল মাদ্রাসার চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ দুই বছরে শেষ করার কথা থাকলেও চার বছরে ও শেষ হয়নি। এতে একদিকে যেমন ছাত্র – ছাত্রীদের পাঠদানের কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যবত হচ্ছে। অপর দিকে মাদ্রাসা মাঠে ভবন নির্মাণ সামগ্রি ফলে রাখার কারণে প্রায় চার বছর ধরে মাদ্রাসা মাঠে ছাত্র – ছাত্রীদের নিয়মিত বার্ষিক খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে ছাত্র -ছাত্রী, শিক্ষক ,অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে। জানা য়ায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নেএকোনা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দরপত্র আহবান করা হয়।
দরপত্রে ২ কোটি ৯৩ লাখ প্রাক্কলিত মূল্যে কাজটি পায় মোহাম্মদ ইউনুস এণ্ড ব্রাদারস কোম্পানি। যথা সময়ে কাজ শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে দুই বছরের কাজ চার বছরে শেষ হচ্ছে না।
মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন,
স্হানীয় সংসদ অসিম কুমার উকিল ২ -৩ বার ভবন নির্মাণ কাজটি পরিদর্শন করে কাজটি দ্রুত গতিতে করা জন্য ঠিকাধারকে তাগিদ দিয়েছেন।
কিন্তু চারতলা ভবন বিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজটি নিয়ে ঠিকাধারী প্রতিষ্টানের গাফিলতিতে দুই বছরের কাজটি
চার বছর ও শেষ হয়নি।এই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত ১০০০হাজার ২০০জন ছাত্র /ছাত্রীর পাঠদান কার্যক্রম নিয়ে আমরা বিপাকে আছি। ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান কাজটি শেষ করে দেওয়ার জন্য কয়েকবার সময়সীমা নির্ধারণ করলেও কাজের কাজ তেমন এগুচ্ছেনা। ভবন নির্মাণ সামগ্রি মাদ্রাসার মাঠে ফেলে রাখায় চার বছর ধরে মাদ্রাসা মাঠে ছাত্র /ছাত্রীদের নিয়মিত বার্ষিক খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে।
ভবন নির্মাণ কাজ প্রসঙ্গে জানাতে চাইলে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের এসোসিয়েট প্রোপাইটার মিজানুর করিম খান
বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান ২০১৯ – ২০২০ অর্থ বছরে এই কাজটি ২কোটি ৯৩লাখ টাকার মূল্যে শুরু করি।
কিন্তু করোনার কারণে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। নির্মাণ সামগ্রির মূল্য ও বেড়েছে অনেক তাছাড়া আমিও নিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলাম এক বছর যে কারণে কাজটি যথাযথ সময়ে শেষ করতে পারিনি । তিনি বলেন নেএকোনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য অসিম কুমার উকিল কাজ পরিদর্শন করে কাজটি শেষ করার জন্য আমাকে বিশেষ তাগিত দিলে আমি তাকে কথা দিয়েছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করে দিব। যদিও মার্চ পযর্ন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেছি।
তিনি বলেন, প্রাক্কলিত মূল্য থেকে টাকার বৃদ্ধির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। আশা করি কাজটি সম্পূর্ণ শেষ করতে ৩কোটি ২৫লাখ টাকার মতো বিল পেতে পারি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নেএকোনা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিত কুমার দাস বলেন, নানা কারণে কাজটি যথাসময়ে শেষ হয়নি। তবে ঠিকধারী প্রতিষ্ঠানকে অতিদ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
ঠিকাধার মিজানুর করিম খান কথা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজটি শেষ করে দিবেন।