Dhaka ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জামায়াত আমীরকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা চিকিৎসা নয়, আগে জাতির কথা— ড.শফিকুর রহমান শহীদদের স্মরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শপথ নিলো নরসিংদী বিএনপি দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করলেন ইবি শিক্ষার্থীরা বগুড়ায় পুত্রবধূ ও শ্বশুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি র‍্যাবের জালে OHCHR মিশন আসছে বাংলাদেশে:জাতিসংঘের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি তারেক রহমানকে কটাক্ষের প্রতিবাদে নরসিংদীতে যুবদলের বিক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত দাবিতে শিবিরের টর্চ লাইট মিছিল
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

ভারতে ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, এলাকায় চরম চাঞ্চল্য

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ২১ Time View

সুজন চক্রবর্তী⬛ভারত প্রতিনিধি:

 

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকালে পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গাপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—সানি রাউত (৩৫) ও নন্দিনী রাউত (৩০)।

 

স্থানীয়দের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

 

সানি রাউত জলপাইগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন পল্লীর বাসিন্দা হলেও স্ত্রী নন্দিনীর parental home ছিল ভাঙ্গাপাড়ায়। প্রায় সময়েই তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতেন। শুক্রবার রাতেও তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।

 

শনিবার সকালে নন্দিনীর মা শিলিগুড়ি থেকে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ভিতরে ঢুকে মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে এবং সানিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়।

 

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার সময় ঘরের ভিতর থেকে কোনো শব্দ না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় এই ঘটনা ঘটে।

 

প্রতিবেশীদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। সানি রাউত স্ত্রীর উপর সন্দেহ করতেন এবং প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলমান রয়েছে।”

 

ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও আতঙ্ক। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

সড়কে ঝরলো প্রাণ, ট্রলির নিচে পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

ভারতে ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, এলাকায় চরম চাঞ্চল্য

Update Time : ০৬:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

সুজন চক্রবর্তী⬛ভারত প্রতিনিধি:

 

উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকালে পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গাপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—সানি রাউত (৩৫) ও নন্দিনী রাউত (৩০)।

 

স্থানীয়দের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

 

সানি রাউত জলপাইগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন পল্লীর বাসিন্দা হলেও স্ত্রী নন্দিনীর parental home ছিল ভাঙ্গাপাড়ায়। প্রায় সময়েই তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতেন। শুক্রবার রাতেও তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।

 

শনিবার সকালে নন্দিনীর মা শিলিগুড়ি থেকে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ভিতরে ঢুকে মেয়ের নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে এবং সানিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়।

 

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার সময় ঘরের ভিতর থেকে কোনো শব্দ না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোন এক সময় এই ঘটনা ঘটে।

 

প্রতিবেশীদের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। সানি রাউত স্ত্রীর উপর সন্দেহ করতেন এবং প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলমান রয়েছে।”

 

ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে শোক ও আতঙ্ক। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন।