Dhaka ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বগুড়ায় প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি ও চারুকলা ডিপ্লোমা ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সমাপনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পৌর বিএনপির উদ্দ্যেগে নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত  ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত বেগম খালেদা জিয়ার সুুস্থতা কামনায় আদাঐর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও আলোচন সভা বগুড়া দুপচাঁচিয়ার জমজ ভাই বোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনাম যাচ্ছেন আদিতমারী বুড়ির বাজারে সার গোডাউনে অবৈধভাবে মজুত এর দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা রৌমারীতে কলেজছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস,সমালোচনার ঝড় পরকিয়ার জেরে পূর্বপরিকল্পিত হত্যা-প্রধান আসামী র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বগুড়ায় বিচারকের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের তিন জন গ্রেফতার আমন ধান কাটার পাশাপাশি এখন আলু রোপণের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • ২৪৭ Time View

এম জালাল উদ্দীন,জেলা প্রতিনিধি,খুলনা: টানা ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পরে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেতের পরিচর্যা করা হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে পাকা ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা উৎপাদন না হওয়ার আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ।

খামার সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে।এর মধ্যে ব্রি ধান ৩০ জাতের ৩৪ একর,ব্রি ধান৭৩ জাতের ৪ একর,ব্রিধান ৭৮ জাতের ৪ একর,ও বি আর ২৩ জাতের১৮একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, এবং পর্যায়ক্রমে অক্টোবরের শুরুতে থেমে থেমে বা একটানা হালকা ও ভারী বৃষ্টি ৮ তারিখ পর্যন্ত গিয়ে থামে। একটানা বৃষ্টি, বৈরি আবহাওয়ায় ও ঝড়ের তাণ্ডবে ধানের কুশি পর্যায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ধানের পরিচর্যায় সার ও কীট নাশক ব্যবহার করার পরে সেগুলো বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়।এতে করে ধানের কোন উপকার হয়নি, আবারও কিট নাশক ছিটাতে হয়েছে। সবমিলিয়ে খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। উপকূলে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বোয়ালিয়ার উক্ত খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।

এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, একটানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে চলতি মৌসুমে ৭ একর আমন ক্ষেতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রি-ধান ৭৮ জাতের তিন একর জমির ধান ফুল পর্যায় থাকায় ফুল ঝরে পড়ে পরাগায়ন বিঘ্নিত হয়ে ধানের শীষে কালো স্পট পড়েছে। ব্রি ধান ৭৩ জাতের এক একর জমির পরিপক্ক ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। বি আর ২৩ জাতের চার একর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে।ধানের গুনগত মান নষ্ট হয় এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে দ্রুত পানি নিষ্কাসন করা,নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক, কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।বৃষ্টির পানিতে সার ধুয়ে যাওয়ায় গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমানের অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করে ক্ষতিগ্রস্থ বীজ ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বগুড়ায় প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি ও চারুকলা ডিপ্লোমা ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সমাপনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

Update Time : ০৮:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

এম জালাল উদ্দীন,জেলা প্রতিনিধি,খুলনা: টানা ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পরে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষেতের পরিচর্যা করা হচ্ছে। একটানা বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে পাকা ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা উৎপাদন না হওয়ার আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ।

খামার সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে।এর মধ্যে ব্রি ধান ৩০ জাতের ৩৪ একর,ব্রি ধান৭৩ জাতের ৪ একর,ব্রিধান ৭৮ জাতের ৪ একর,ও বি আর ২৩ জাতের১৮একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, এবং পর্যায়ক্রমে অক্টোবরের শুরুতে থেমে থেমে বা একটানা হালকা ও ভারী বৃষ্টি ৮ তারিখ পর্যন্ত গিয়ে থামে। একটানা বৃষ্টি, বৈরি আবহাওয়ায় ও ঝড়ের তাণ্ডবে ধানের কুশি পর্যায় ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ধানের পরিচর্যায় সার ও কীট নাশক ব্যবহার করার পরে সেগুলো বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়।এতে করে ধানের কোন উপকার হয়নি, আবারও কিট নাশক ছিটাতে হয়েছে। সবমিলিয়ে খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। পাশাপাশি মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। উপকূলে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বোয়ালিয়ার উক্ত খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।

এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম জানান, একটানা ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে চলতি মৌসুমে ৭ একর আমন ক্ষেতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রি-ধান ৭৮ জাতের তিন একর জমির ধান ফুল পর্যায় থাকায় ফুল ঝরে পড়ে পরাগায়ন বিঘ্নিত হয়ে ধানের শীষে কালো স্পট পড়েছে। ব্রি ধান ৭৩ জাতের এক একর জমির পরিপক্ক ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। বি আর ২৩ জাতের চার একর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে।ধানের গুনগত মান নষ্ট হয় এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যে দ্রুত পানি নিষ্কাসন করা,নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক, কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।বৃষ্টির পানিতে সার ধুয়ে যাওয়ায় গাছের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমানের অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করে ক্ষতিগ্রস্থ বীজ ফসলের পরিচর্যা করা হচ্ছে।