কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় গ্রাম পুলিশ কতৃক আড়াই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী পালিয়ে যাওয়ায় ইউপি প্রাঙ্গনে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে ধংস করা হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ২৮শে অক্টোবর /২৩ইং শনিবার ০৬ নং জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ০৬নং ওয়াডের (বড়খাটামারী )মহল্লাদার মোঃ শহিদুল ইসলাম তার জামাই বাড়ি দক্ষিণ শিংঝাড়ে বেড়াতে যায়। সেখানে যেয়ে নাতনি না পেয়ে খোজাখুজি করতে থাকে। নাতনি পেয়ে পাশ্ববর্তী জোরকুড়ার পাড় ব্রীজের কাছে গিয়ে খুজে পায়।
নাতনি পেয়ে স্থানীয় বটতলা থেকে দক্ষিণ শিংঝাড় গামী পাকা রাস্তায় অটো চলছে দেখে অটোর ড্রাইভার কে ডাক দেয় অটো থামার জন্য।
গ্রাম পুলিশ ( মহল্লাদার ) দেখে অটোর তিনজন যাত্রী স্ব জোরে দৌর দিয়ে পালিয়ে যায়। অটোর ড্রাইভারের কাছে পালিয়ে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে বয়স্ক ড্রাইভার জানান,
ওরা তিন জন আন্ধারীঝাড় যাবে বলে ধাড়াই অটোর উপরে বেধে তিনজনে সিটে বসে। এখন আপনাকে দেখে পালিয়ে গেল। ধারাইয়ের ভিতর কি আছে আমিতো জানিনা।
পরে গ্রাম পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আঃ ওয়াদুদ সাহেব কে ফোনে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান সাহেব ধারাইটি পরিষদে আনতে বলেন।
বিষয়টি ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমীন কে জানালে তিনি সঙ্গীয় ফোস সহ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী ভুমি কমিশনার তাহমিদুল ইসলাম ও ভুরুঙ্গামারী – কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান পিপিএম সহ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী ভুমি কমিশনার তাহমিদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে সঙ্গে সঙ্গে চলে আসেন।
গ্রাম পুলিশ শহিদুল ইসলাম কে ধারাই খোলার নির্দেশ দেন এর্বং দেখেন যে ধারাইয়ের ভিতরে পোলিথিনে মোড়ানো প্রায় আড়াই কেজি গাঁজা রয়েছে। আসামী পালাতক থাকায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী ভুমি কমিশনার তাহমিদুল ইসলামের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠন করে দুপুর ২ ঘটিকার সময় জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে কেরোসিন তৈল ঠেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুরিয়ে ধংস করে দেওয়া হয়।
এ সময় ০৬ নং জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব আঃ ওয়াদুদ মিয়া, ০৬ ওয়াড সদস্য হাবিবুর রহমান হাবি, ০৭ নং ওয়াড সদস্য আনোয়ার হোসেন, ০২ নং ওয়াড সদস্য সুজাউদ্দোলা সুজা সহ গ্রাম পুলিশ শহিদুল ইসলাম, গ্রাম পুলিশ দুলু মিয়া এবং অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।