
মোঃ নাজমুল – ঢাকা◼️
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে অস্ত্রের ম্যাগাজিন ধরা পড়ার ঘটনায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে নিজেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিয়ে পরিস্থিতি পরিষ্কার করেছেন তিনি।
রোববার (২৯ জুন) ভোরে মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠেয় ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে ঢাকা ছাড়েন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। বিমানবন্দরের স্ক্যানিং কক্ষে তার ব্যাগে একটি ম্যাগাজিন দেখতে পান নিরাপত্তা সদস্যরা। এ ঘটনায় সামাজিক ও মূলধারার গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়।
এদিন রাতে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন,
“ভোরে ব্যস্ততার মধ্যে প্যাকিং করতে গিয়ে অস্ত্রসহ একটি ম্যাগাজিন রেখে এলেও ভুলবশত একটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়। স্ক্যানে ধরা পড়ার পর সঙ্গে থাকা প্রটোকল কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করি।”
তিনি আরও বলেন,
“নিরাপত্তার স্বার্থে আমার কাছে বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রয়েছে। বিগত সময়ে গণ-আন্দোলনের সময় একাধিকবার হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছি। তাই অস্ত্র বহন আমার জন্য কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়।”
গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ না করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন,
“চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি টিমসহ দীর্ঘ ফ্লাইট ও ট্রানজিটে ছিলাম। ঘটনাটি জানতেও পারিনি। কেউ চাইলেই নিজের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স নিতে পারেন। এখানে কোনো অপরাধ নেই।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন,
“শুধু একটি ম্যাগাজিন রেখে দিয়ে আমি কী করব? যদি ইচ্ছা থাকত তবে অস্ত্রও সঙ্গে থাকত। এটা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত এবং আইনগতভাবে কোনো সমস্যা ছিল না।”
এ ঘটনায় সমালোচনার পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং দায়িত্ববোধ কতটা সতর্ক হওয়া উচিত। তবে ব্যাখ্যার পর কিছুটা হলেও সামাজিক আলোচনার তাপ প্রশমিত হয়।
সামগ্রিকভাবে এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ব্যক্তিগত অস্ত্র ব্যবহারের নিয়মনীতি নিয়েও। তবে আসিফ মাহমুদের সরাসরি স্বীকারোক্তি এবং ব্যাখ্যাকে অনেকেই স্বচ্ছতা হিসেবে দেখছেন।