এস এম নুরুল আমিন,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ধানক্ষেত থেকে বস্তুাবন্দী মৃত যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২১শে অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মিরপুরের দুয়ারি পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম শফিকুল ইসলাম শফি (৩২)।
সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আঙ্গারীয়া গ্রামের বাড়াইটারী এলাকার ঝালেম উদ্দিনের পুত্র।
পুলিশ জানায়, ১৩ই অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার মন্দিরের পাশের একটি সুপারি বাগানে শাহিন আলম (৩৫) নামের এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পাশের ধান খেতে রেখে পালিয়ে যায় শফিকুল।
পরে ১৫ ই অক্টোবর রবিবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মোবাইল ফোন হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যা কান্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই দিন নিহতের ছোট ভাই সিদ্দিক আলম বাদি হয়ে শফিকুল, তার মামা নুর মোহাম্মদ ও মা সকিনা বেগম এই তিনজনকে আসামি করে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ট্রাকিং এর মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর থানার দুয়ারী পাড়া থেকে মামলার প্রধান আসামিকে আটক করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ।
এর আগে মামলার অপর আসামি সকিনা বেগমকে নিজ বাড়ি এবং নুর মোহাম্মদকে দিনাজপুর থেকে আটক করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে শফি বলেন উক্ত হত্যা কান্ডের সাথে সে একাই জড়িত।
মামলার বাদী সিদ্দিক আলম জানান, আমার ভাইয়ের হত্যা কারী ধরা পরেছে শুনে খুশি হয়েছি। আমরা এই খুনির ফাশি চাই।
ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোর্শেদুল হাসান (পিপিএম) জানান মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যা কান্ড ঘটেছে।
শনিবার আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহ করা হয়।
দুপুরে আসামিকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে।