আরমান হোসেন খান,জেলা প্রতিনিধি,ঢাকাঃ যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিলো মানব চামড়ায় বাঁধানো একটি বই। ৯০ বছর ধরে বইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংরক্ষণে থাকলেও তার মলাট যে মানুষের চামড়ার তৈরি তা নিশ্চিত হওয়া যায় ২০১৪ সালে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) “ডেস্টিনিজ অব দি সোল” নামে বইটি থেকে মানব চামড়ায় তৈরি মলাটটি অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড জানিয়েছে, চামড়াটি অপসারণ করা হয়েছে এবং ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার শেষকৃত্যের ব্যবস্হা করা হবে।
জানা গেছে, ১৮৮০ সালে লেখা হয় এই বইটি। ‘দেস দেসতিনেস দে লামে’ শিরোনামে আত্মা ও মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে লেখা এই বইটির লেখক আর্সেন হোসায়ের। পরে বইটি নিজের চিকিৎসক বন্ধু ডা.লুডোভিচ বোল্যান্ডকে দেন লেখক। বইপ্রেমী ওই চিকিৎসক পরবর্তীতে এক অপরিচিত মানসিক বিকারগ্রস্ত নারীর চামড়া দিয়ে বাঁধাই করেন বইটি। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছিলো ওই নারীর।
একটা পর্যায়ে বইটির মলাট নিয়ে সন্দেহ হওয়ার পর ব্যাপক অনুসন্ধান চালান বিজ্ঞানী ও পর্যবেক্ষকরা। অবশেষে ২০১৪ সালে এসে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হন বইটির মলাটে মানুষেরই চামড়া ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর এক দশক ধরে বইটি মানব চামড়ার মলাটে থাকলেও কদিন আগে সেই মলাট সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। অজ্ঞাত ওই নারীর এই দেহাবশেষের সম্মানজনক সৎকারের পাশাপাশি ওই নারীর জীবন নিয়েও গবেষণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাফটন লাইব্রেরি।
আজকাল মানুষের চামড়া দিয়ে বই মলাট করাকে উদ্ভট বা ঘৃণ্য কাজ হিসেবে গণ্য করা হলেও একসময় অবশ্য এর প্রচলন ছিলো। ষোড়শ শতাব্দীতে কেউ অপরাধ করলে তার চামড়ায় তা লিখে দেওয়া হতো। অনেক সময় কেউ কেউ মরে যাওয়ার পর তার চামড়া দিয়ে বইয়ের মলাট বানিয়ে তাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের অনুরোধও করে যেতেন। বইটি বর্তমানে লন্ডনের ‘ওয়েলকাম’ লাইব্রেরিতে আছে বলে জানা গেছে।
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
মানুষের চামড়ার তৈরি বইয়ের মলাট
- Reporter Name
- Update Time : ০৮:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
- ৩৯৭ Time View
Tag :
Popular Post