মুমিনুল ইসলাম,
উপজেলা প্রতিনিধি (কয়রা): আসামীর কর্তৃক হত্যা মামলা তুলে নিতে, খুন জখমের ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির প্রতিবাদে এবং আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দ্রুত বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী নিহতের মা খুলনার কয়রার আমাদী ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামের বিধবা ভুক্তভোগী অসহায় নারী পারভীন আক্তার।
৭ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কয়রা রিপোটার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।এসময় বিধবা
মহিলার ছেলে তোরাব আলী, নিহত ছেলের বউ নারগিস খাতুন ও তার ০৩ মাসের শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পারভীন আক্তার বলেন, আমি একজন দিনমজুর অসহায় বিধবা মহিলা। আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে বিদ্যুতের তার বিছিয়ে কারেন্ট সটে মেরে ফেলা হয়েছে।আমার মৃত্যু সন্তান ইয়াছিনের এক মাত্র ০৩ মাসের শিশু কন্যা সন্তান ও বিধবা স্ত্রী নিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে সন্তান হারা শোকে আমি কাতর৷ এমতাবস্থায় আমার পরিবারের তেমন কোন অবিভাবক না থাকায় সেই দুর্বলতার সুযোগে আসামী ও আসামী পরিবারের সদস্যগণ মামলা তুলে নিতে নানা ভয়ভীতি,জীবন নাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।লিখিত বক্তব্যে পারভীন আক্তার দাবী করেন আসামীরা তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি প্রদান করছে। তাদের হুমকিতে পরিবারের সদস্যরা জীবন ঝুঁকিতে থাকার আশঙ্কা করছেন । তিনি ঘটনায় জড়িত সকল আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারসহ সন্তান হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করে তিনি বিধবা নারী হিসাবে অভিভাবক শূন্য থাকায় সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
এব্যাপারে আসামী ও আসামী পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ০৯ সেপ্টেম্বর বিধবা পারভীন আক্তারের বড় ছেলে ইয়াছিন সানা সন্ধায় মাছ ধরার জন্য বিলের উদ্দেশ্যে রওনা হলে বেজ পাড়া গ্রামের প্রতিবেশী সুশীল মিস্ত্রীর ছেলে রবেন মিস্ত্রী ও ভবেন মিস্ত্রীর ক্ষেতে কাছে পৌছালে আগের থেকে ক্ষেতের চারিদিকে বেষ্টনি আকারে এ্যালমুনিয়ামের ( গুন তার) বৈদ্যুতিক তার থাকায় অসাবধানতা বসত পায়ে স্পর্শ করিলে বৈদ্যতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ইয়াছিন মারা যায় তার সাথে থাকা অপর সহযোগী আছাদুল সানা গুরুত্বর আহত হন। এ ঘটনায় নিহতের মা বিধবা পারভীন আক্তার গত ১০ সেপ্টেম্বর কয়রা থানায় রবেন মিস্ত্রী (৫০), ভবেন মিস্ত্রী (৫৩), উভয় পিতা সুশীল মিস্ত্রী , ও দেবজয় মিস্ত্রী পিতা মৃত সমরেশ মিস্ত্রীকে আসামী করে মামলা দায়েন করেন। ১ নং আসামী রবেন মিস্ত্রি জেল হাজতে।