এফ এফ সিফাত হাসান,শেরপুর:
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে শহরের নবীনগর এলাকায় শেরপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় তিনি বলেন, মায়ের কোলে শিশুরা যেমন নিরাপদ থাকে, ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেও দেশ ও জনগণ নিরাপদে রয়েছে। কাজেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ প্রতিষ্ঠা করে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজ করছেন। এটি কেবল তার মাধ্যমেই সম্ভব। তিনি আরও বলেন, শেরপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ জেলার আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. ছারোয়ার হোসেন, শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ।
পরে প্রধান অতিথি অন্যান্যদের নিয়ে ফলক উন্মোচন করে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্ণেল জামাল, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ, শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল মজিদ খোকন, শেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্তসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ ও ৪টি পাসপোর্ট অফিস ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রটোটাইপ ডিজাইনে শেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবনটি নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে করেছে গণপূর্ত বিভাগ। ২৫ শতক জায়গার উপর ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ৩ তলা ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। মূল ভবনের আয়তন ৮৮২৬ বর্গফুট। ভবনটি নির্মাণ হওয়ায় জেলার প্রায় ১৭ লক্ষ নাগরিক সানন্দে ও সহজভাবে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।