
ইসলামিক ডেস্ক◼️
ব্যস্ত জীবনের তালে মাঝেমধ্যে যোহরের পর একটুখানি চোখ বন্ধ করাটা যেন বিলাসিতা মনে হয়। অথচ এটি ছিল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অন্যতম সুন্নাহ। তিনি নিয়মিতভাবে ‘কাইলুলাহ’ নামক যোহরের পর স্বল্প সময়ের বিশ্রাম নিতেন। প্রশ্ন হচ্ছে—এই ছোট্ট ঘুমের পেছনে কি কেবল আরামের ইচ্ছা, না কি রয়েছে বড় কোনো হিকমত?
পবিত্র হাদীসে এসেছে—
“দুপুরে সামান্য ঘুম গ্রহণ কর, কারণ শয়তান ঘুমায় না।” (বায়হাকী)
এই হাদীস শুধু একটি ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং আধুনিক বিজ্ঞান এতে খুঁজে পেয়েছে দারুণ উপকারিতা। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরের ঘুম মানসিক চাপ কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং মস্তিষ্কে সতেজতা ফিরিয়ে আনে।
বিশেষ করে যারা ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের শরীর দুপুর নাগাদ কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় ১৫-৩০ মিনিটের একটি হালকা ঘুম স্নায়ুতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, দুপুরে স্বল্প সময় ঘুমানো রাতে ঘুমের গুণমান নষ্ট করে না; বরং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মনোসংযোগে সহায়তা করে।
রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহর প্রতিটি পদক্ষেপেই রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ। যোহরের পর ঘুমও তার ব্যতিক্রম নয়। এটি শুধু শরীরের বিশ্রাম নয়, বরং একটি সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের অংশ।
আজকের দিনভর ব্যস্ততায় আমরা যদি উনার এই সুন্নাহ অনুসরণ করি, তাহলে হয়তো আরও প্রশান্তিময়, স্বাস্থ্যসম্মত ও আলোকিত জীবন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।