
শ্রী রতন কুমার রায়,
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দুর্গাপূজা। আসন্ন দুর্গাপুজা কে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরির ব্যস্তমুখর কারিগরেরা।
আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপুজা।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার জেলায় প্রতিটি পুজা মন্ডপ গুলোতে সিসি ক্যামেরা আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। দুর্গাপুজা কে কেন্দ্র করে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। এদিকে প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি তোরন নির্মাণসহ সাজ সজ্জার কাজকর্মও থেমে নেই, চলছে পুরোদমে।
তথ্য মতে, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। ১২৫ টি পূজা মন্ডপে প্রতিমা ও ঘট পূজা এই উপজেলায় হবে । তৎমধ্যে রাজারহাট উপজেলা তালতলা মন্দির ১ টি প্রতিমা, মাঝাপাড়া মধ্যে কালীর পাঠ মন্দির ১টি, আমতলী দুর্গা মন্দির ১টি, পুনকর মন্দির ১টি । জানা যায় রাজারহাট উপজেলায় বিশাল সাজসজ্জায় আলোকিত করছেন স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়।
রাজারহাট উপজেলায় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক: রাম জীবন কুন্ড, জানান এবছর প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। দুর্গাপুজা কে ঘিরে উপজেলা প্রশাসন কাবেরী রায় ,রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান মো: জাহিদ সারোওয়ার্দী বাপ্পি,সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে বিশেষ মতবিনিময় সভা করেন । এবারের পুজায় কোনো ধরনের সমস্যা না হওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করছেন বলে তিনি জানান। আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে থানার ওসি মহোদয় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান। প্রতিটি এলাকায় আমারা টহল দিচ্ছি, প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতার রয়েছে, এই উপজেলায় নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে বলে জানান।