মুসলেহ উদ্দিন,টেকনাফ: রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়ে চলেছে,সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে সবাই সর্তক হোন, বাড়ির পাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার রাখুন সেই সাথে ছোট বাচ্চাদের খেয়াল রাখুন,এই সাপের এক ছোবলে মৃত্যু নিশ্চিত পাহাড়ে দেখা মসতর্কবার্তা
- আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।
- সম্ভব হলে ছোবল দেওয়া সাপের ছবি তুলে চিকিৎসককে দেখান।
- মাঠের কাজে গামবুট ও জিন্স প্যান্ট পরুন।
- কাজ শুরুর আগে শব্দ করুন। সাপ থাকলে বের হয়ে আসবে।
- ঝোপঝাড় বা বড় ঘাসে হাত দেওয়ায় সতর্ক থাকুন।
- দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ইট-পাথরে হাত দেওয়ায় সতর্ক থাকুন
রাসেল ভাইপারঃ
এই সাপের বিশেষত্ব হচ্ছে, এরা খুবই বিষাধর। কাউকে ছোবল দিলে এন্টি ভেনম দিলেও বাঁচার সম্ভাবনা ২০%.।।এন্টি ভেনম এটার টা নাই এ দেশে।
আর এই দেশের জলবায়ুতে এদের কোন অবদান নাই। আরও ভয়ংকর ব্যাপার হল অন্যান্য সাপ সাধারণত নিজেরা আক্রান্ত হলে কিংবা সরাসরি কারও সামনে পড়লে ছোবল দেয় অন্যথায় কামড় দিতে আসে না বরং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রাসেল ভাইপার দূরে থেকে মানুষ দেখলেও তেড়ে আসে আর কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে।
অন্য সাপ ১ রকম বিষ ধারন করলেও,,রাসেল ভাইপারের বিষ একই সাথে ৫/৬ ধরনের হয়।
এই সাপ খুবই দ্রুত বংশ বিস্তার করে
এরা সরাসরি বাচ্চা দেয়—৫০ থেকে ৮০ টি পর্যন্ত বাচ্চা দিতে পারে।
টেকনাফ তীরবর্তী এলাকায় এই সাপের উপদ্রব বেড়েছে।
তাই সরকারিভাবে যদি এই সাপ নিধনের উদ্যোগ না নেয়া হয় তাহলে বর্ষার মৌসুমে সারা বাংলাদেশে এই সাপ ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।