
মোঃ সাদেকুল ইসলাম,লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: কুলাঘাট ইউপির শিবেরকুটি গ্রামের তোজাম মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী একই এলাকার আলম হোসেনের মেয়ে মেহেনুর ওরফে আরপিনা। তারা দুইজনই কলেজ শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন থেকে প্রেমিক টোকনুজ্জামান বাড়ি থেকে পালিয়ে আছেন।
জানা যায়, প্রেমিক রোকনুজ্জামান ও প্রেমিকা আরপিনার বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ক দৈহিক সম্পর্কে পরিণত হয়। তারা দুজনেই কলেজ শিক্ষার্থী হওয়ায় কলেজে যাওয়ার কথা বলে রোকন তার প্রেমিকাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যান। গত শুক্রবার বিকেলে রোকন বিয়ের কথা বলে প্রেমিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে রোকনের ওপর রেগে যায়। এ পর্যায়ে রোকন প্রেমিকা আরপিনাকে তার বাড়ির উঠানে রেখে পালিয়ে যায়। ওইদিন থেকেই প্রেমিকা আরপিনা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে আছেন। প্রেমিকের বাড়ির লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়ার চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর বাধার কারণে পারেননি।
ওই কলেজছাত্রী জানান, তিন-চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক রোকন প্রায় রাতে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি তার পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই রোকনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। পরে রোকন তাকে বিয়ে করবে বলে রাজি হয় এবং বিয়ের জন্য তাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপরেই বিপত্তি বাধে। রোকমের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় এবং রোকনকে গালাগালি করে তাকে মারতে আসলে রোকন পালিয়ে যায়।
আরপিনা আরো বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে রোকন তাকে বিয়ে করবে বলে তার পরিবারকে জানায়। কিন্তু তার পরিবার এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের হাত ধরে প্রেমিক রোকনের বাড়িতে আসে সে। প্রেমিক রোকন পালিয়ে গেলেও সে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতেই অনশনে আছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে বা তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিলে নিজেই নিজের জীবন দেবেন বলেও জানান ওই কলেজছাত্রী।
মেয়ের মা মর্জিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে পড়ালেখা ছাড়া কিছুই বুঝতো না। তাকে ফুসলিয়ে রোকন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিয়ে করবে বলে রোকন তার মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। রোকন ভয়ে পালিয়ে গেলেও এখন তার পরিবারের লোকজন তার মেয়েটিক মারধর করছে, বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করছে। মেয়েটি আমার দুদিন ধরে তাদের বাড়িতে অনশনে আছে তাই নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ঘটনাটি শুনেছি, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।