শ্রী রতন কুমার রায়,
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: শারদীয় দুর্গাপূজাকে সার্বিকভাবে সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রাজারহাট উপজেলা মন্দির কমিটিগুলোর প্রতি নির্দেশ দেন। উক্ত প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা “কাবেরী রায়” বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান মো: জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি, রংপুর বিভাগীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, রামজীবন কুন্ডু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, রবি কর্মকার,
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, আহসানুল করিম বাপ্পি,
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা,
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স প্রতিনিধি, আনসার প্রতিনিধি সদস্য উপস্থিত ছিলেন,
,রাজারহাট উপজেলার সকল মন্দির কমিটি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সুরেশ মোহন্ত, সাধারণ সম্পাদক নাড়ুগোপাল রায় শ্যামল,
জেলা সাধারণ সম্পাদক,যুব ঐক্য পরিষদ, শ্রী নিমাই চন্দ্র রায়,
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট এর সভাপতি শ্রী রতন কুমার রায়, রংপুর বিভাগীয় হিন্দু যুব মহাজোটের প্রচার সম্পাদক সুজন চন্দ্র রায়, জনার্দন চন্দ্র রায়, কনক চন্দ্র রায়, নকুল চন্দ্র রায়, শ্রী বিপুল রায় কাজল,শ্রী দুর্লভ চন্দ্র রায়,শ্রী সুশীল চন্দ্র দাস, আলোচনা শুরুতেই বিভাগীয় পূজা উদযাপন সভাপতি রামজীবন কুন্ডু ২৫টি দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন,
১. ধর্মীয় ভাব বজায় রেখে সাত্ত্বিকভাবে মায়ের অর্চনা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. পুজা শুরু থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি পূজা মন্দির মণ্ডপে স্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে সংশ্লিষ্ট মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
৩. পূজা মন্দির/মণ্ডপে নারী ও পুরুষের পৃথক যাতায়াত ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং শৃংখলা রক্ষার জন্য নিজস্ব নারী/পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা (মোবাইল নং সহ উল্লেখ্য থাকতে হবে।
৪. উচ্চ শব্দের কারণে বিরুক্তি মাইক/পিএসেট ও /পটকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ভক্তিমূলক সংগীত ব্যতীত অন্য কোন গান বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. প্রতিমা নির্মাণসহ পূজায় সাত্ত্বিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।
৬. কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এরূপ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭. মন্দির/মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আর্থিক সংগতি সাপেক্ষে সিসি ক্যামেরা সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এবং বিসর্জন হলে পর্যাপ্ত আলোর (জেনারেটরসহ জরুরী বিদ্যুৎ সরবরাহ যন্ত্র) ব্যবস্থা এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ও নিরাপত্তাবিধি মেনে সকলের সাথে সমন্বয় করে পূজা আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. যে কোন দুর্ঘটনার সংবাদ তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রয়োজনে ‘৯৯৯’ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।
১০. প্রতিমা বিসর্জ্জনে শোভাযাত্রায় সতর্কতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
১১. ইভ টিজিং, ছিনতাই ইত্যাদিতে কেউ জড়িত হলে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে।
১২. যানবাহন চলাচল ও দর্শনার্থী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে এমন স্থানে পূজাকালীন সময়ে কোন দোকানপাট বরাদ্দ।
দেয়া যাবে না।
১৩. পূজা শুরু থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত সকল পূজামন্ডপে একটি রেজিস্টার সংরক্ষণ
করতে হবে।
১৪. পূজামন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা ২৪/ ঘন্টা পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. পূজামন্ডপের নিরাপত্তা তদারকির জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব বন্টন (কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গণ) নিশ্চিত করবেন।
১৬. স্বেচ্ছাসেবকদের বড় ছবিযুক্ত দৃশ্যমান পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করতে হবে।
উক্ত প্রস্তুতি সভায় সুধী জন ধর্মীয় জ্ঞান মূলক আলোচনা করেন, অনেকেই পরামর্শ ও অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী মহোদয়ের কাছে।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট, এর সভাপতি প্রস্তুতি সভার বক্তব্যে বলেন,বর্তমানে আমাদের সনাতন ধর্ম অবক্ষয়ের রোধ করতে হবে, এই রোধ করতে আমাদেরকে সকল বয়সের মানুষের ধর্মীয় ভাব বৃদ্ধি করতে হবে, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কর্তৃক আমরা প্রতিটি মন্দিরে গীতা স্কুল চালু করতে চাই, আমরা রাজারহাট উপজেলা যুব মহাজোট, তথা হিন্দু মহাজোট অত্র উপজেলার সকল মন্দিরে যাব, এখানে উপস্থিত অত্র উপজেলার সকল মন্দিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যবৃন্দ আপনাদের নিকট বিনীত অনুরোধ, এই গীতা স্কুল চালু করার জন্য সহযোগিতা করবেন, আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য বলে মনে করি । পরিশেষে রাজারহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি বলেন সকলকে সচেতন থাকতে হবে, শারদীয় দুর্গাপুজো যেন সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত সুন্দর ভাবে উদযাপিত হয়,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বাস করেন।
সমাপনী বক্তব্য মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসন এই প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন হয়।