Dhaka ১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বগুড়ায় প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি ও চারুকলা ডিপ্লোমা ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সমাপনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত পৌর বিএনপির উদ্দ্যেগে নবীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত  ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত বেগম খালেদা জিয়ার সুুস্থতা কামনায় আদাঐর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও আলোচন সভা বগুড়া দুপচাঁচিয়ার জমজ ভাই বোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনাম যাচ্ছেন আদিতমারী বুড়ির বাজারে সার গোডাউনে অবৈধভাবে মজুত এর দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা রৌমারীতে কলেজছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস,সমালোচনার ঝড় পরকিয়ার জেরে পূর্বপরিকল্পিত হত্যা-প্রধান আসামী র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বগুড়ায় বিচারকের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের তিন জন গ্রেফতার আমন ধান কাটার পাশাপাশি এখন আলু রোপণের কাজে ব্যস্ত কৃষকরা
নোটিশঃ
প্রিয়" পাঠকগণ", "শুভাকাঙ্ক্ষী" ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে:- কিছুদিন যাবত কিছু প্রতারক চক্র দৈনিক ক্রাইম তালাশ এর নাম ব্যবহার করে প্রতিনিধি নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তার সাথে একটি সক্রিয় চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন ভাবে "দৈনিক ক্রাইম তালাশ"কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মনে রাখবেন "দৈনিক ক্রাইম তালাশ" এর অফিসিয়াল পেজ বা নিম্নের দুটি নাম্বার ব্যাতিত কোন রকম লেনদেনে জড়াবেন না। মোবাইল: 01867329107 হটলাইন: 01935355252

শিবচরে সাংবাদিকতার আড়ালে জমজমাট হাসপাতাল ব্যবসা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ১১২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাধারণত বলা হয়ে থাকে চিকিৎসা একটি সেবামূলক পেশা কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে লাভজনক পেশা। অল্পকিছু মূলধন বিনিয়োগ করতে পারলেই হয়, তারপর শুরু হয় লাভ। রোগী বাচলো কি মরলো তাতে কার কি আসে যায়? মেট্রোপলিটন শহরগুলো বাদ দিলে দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে চলছে মানুষের অসুস্থতা রীতিমতো লাভের খেলা।
মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় ” আধুনিক শিবচর নার্সিং হোম” নামের তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলে। বছর দেড়েক আগে তথাকথিত সাংবাদিক নেতা আবুল খায়ের খান নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করা এই খায়ের খান বিজয় টিভির মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি। তিনি উপজেলার সাংবাদিকদের স্বঘোষিত নেতা। তাই তার হাসপাতালে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা হলেও কোনো সাংবাদিক এ নিয়ে প্রতিবেদন করার সাহস করেনা। আবার কেউ প্রতিবেদন করার অথবা তার নার্সিং হোম পরিদর্শন করতে চাইলে তিনি সেই সাংবাদিককে ” চাঁদাবাজ ” আখ্যায়িত করে অপমান, অপদস্ত করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো ক্লিনিক, হাসপাতাল পরিচালনা করতে হলে একজন আবাসিক এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার আবশ্যক। অথচ তার হাসপাতালে কেয়া নামের একজন কথিত নারী চিকিৎসক আছেন যিনি এমবিবিএস পাশ করা তো দূরের কথা ডিএমএফ কোর্সও করেননি। সেই ডাক্তার কেয়ার ভিজিট নেয়া হয় পাঁচশত টাকা। একটি পাতলা কাঁচ দিয়ে ঘেরা রুমে করা হয় এক্স রে। আনবিক শক্তি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এক্স রে মেশিন স্থাপনের জন্যে দশ ইঞ্চি পুরুত্বের কংক্রিটের দেয়াল সম্বলিত ঘরের প্রয়োজন এবং ঘরের দরজা হতে হবে তামা অথবা লোহার পাতাযুক্ত। এই নিয়মের ব্যত্যয় হলে আশেপাশে অবস্থানরত রোগীদের এক্সরে এর রেডিয়েশনে প্রচুর শারীরিক ক্ষতি থেকে শুরু করে পুরুষত্বহীনতা অথবা বন্ধাত্বও হতে পারে। হতে পারে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ। তার নার্সিং হোমে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টেস্ট ফি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিজারিয়ান অপারেশনের অ্যানাস্থিসিয়া দেয়ার ডা. মাহফুজার রহমান নামে একজনকে নিয়মিত ব্যবহার করা হয় যিনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, অ্যানাস্থিসিয়ার ব্যাপারে তার কোনো কোর্স নেই। এই ডা. মাহফুজারের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানান অভিযোগ। তিনি তার ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেন যে, তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অথচ মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনি শিবচরেই থাকেন।
সাংবাদিক পেশার এই হাসপাতাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এলাকার জনগনের ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও পত্রিকা দিয়ে মানুষকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে এই ভয়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও তার বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

বগুড়ায় প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি ও চারুকলা ডিপ্লোমা ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সমাপনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

শিবচরে সাংবাদিকতার আড়ালে জমজমাট হাসপাতাল ব্যবসা

Update Time : ০৫:০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:সাধারণত বলা হয়ে থাকে চিকিৎসা একটি সেবামূলক পেশা কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে লাভজনক পেশা। অল্পকিছু মূলধন বিনিয়োগ করতে পারলেই হয়, তারপর শুরু হয় লাভ। রোগী বাচলো কি মরলো তাতে কার কি আসে যায়? মেট্রোপলিটন শহরগুলো বাদ দিলে দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে চলছে মানুষের অসুস্থতা রীতিমতো লাভের খেলা।
মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় ” আধুনিক শিবচর নার্সিং হোম” নামের তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলে। বছর দেড়েক আগে তথাকথিত সাংবাদিক নেতা আবুল খায়ের খান নামের এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করা এই খায়ের খান বিজয় টিভির মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি। তিনি উপজেলার সাংবাদিকদের স্বঘোষিত নেতা। তাই তার হাসপাতালে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা হলেও কোনো সাংবাদিক এ নিয়ে প্রতিবেদন করার সাহস করেনা। আবার কেউ প্রতিবেদন করার অথবা তার নার্সিং হোম পরিদর্শন করতে চাইলে তিনি সেই সাংবাদিককে ” চাঁদাবাজ ” আখ্যায়িত করে অপমান, অপদস্ত করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো ক্লিনিক, হাসপাতাল পরিচালনা করতে হলে একজন আবাসিক এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার আবশ্যক। অথচ তার হাসপাতালে কেয়া নামের একজন কথিত নারী চিকিৎসক আছেন যিনি এমবিবিএস পাশ করা তো দূরের কথা ডিএমএফ কোর্সও করেননি। সেই ডাক্তার কেয়ার ভিজিট নেয়া হয় পাঁচশত টাকা। একটি পাতলা কাঁচ দিয়ে ঘেরা রুমে করা হয় এক্স রে। আনবিক শক্তি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এক্স রে মেশিন স্থাপনের জন্যে দশ ইঞ্চি পুরুত্বের কংক্রিটের দেয়াল সম্বলিত ঘরের প্রয়োজন এবং ঘরের দরজা হতে হবে তামা অথবা লোহার পাতাযুক্ত। এই নিয়মের ব্যত্যয় হলে আশেপাশে অবস্থানরত রোগীদের এক্সরে এর রেডিয়েশনে প্রচুর শারীরিক ক্ষতি থেকে শুরু করে পুরুষত্বহীনতা অথবা বন্ধাত্বও হতে পারে। হতে পারে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ। তার নার্সিং হোমে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত টেস্ট ফি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সিজারিয়ান অপারেশনের অ্যানাস্থিসিয়া দেয়ার ডা. মাহফুজার রহমান নামে একজনকে নিয়মিত ব্যবহার করা হয় যিনি একজন শিশু বিশেষজ্ঞ, অ্যানাস্থিসিয়ার ব্যাপারে তার কোনো কোর্স নেই। এই ডা. মাহফুজারের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানান অভিযোগ। তিনি তার ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেন যে, তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অথচ মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনি শিবচরেই থাকেন।
সাংবাদিক পেশার এই হাসপাতাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এলাকার জনগনের ব্যাপক অভিযোগ থাকলেও পত্রিকা দিয়ে মানুষকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে এই ভয়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও তার বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।