ইমাম হোসাইন,স্টাফ রিপোর্ট,কুমিল্লা: কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী সদস্য কুমিল্লা-১আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার নাঈম হাসান বলেছেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া এমন কোথাও নাই,যে ছোঁয়া লাগেনি। ওনার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে।
সোমবার(২ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যাগে উপজেলার গাজীপুর খান মডেল সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য,এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে ব্যারিষ্ঠার নাঈম হাসান বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করছে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করার।
মেট্রোরেল,পদ্মাসেতু,কর্ণফুলী টানেল,ফোর লেন ও এইট লেনের রাস্তা করেছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই আস্থা আমাদের রাখতে হবে। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা,বয়স্ক বিধবা,অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন এবং ভূমিহীন ও আশ্রয়হীনদের বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন,আমার বাবা হাসান জামিল ও আমার চাচা ইউসুফ জামিল সাত্তার সাহেব যতদিন জীবিত ছিল ওনারা চেষ্টা করেছিলো আপনাদের পাশে থাকতে।আমার বাবা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করার পরে এই তিতাস উপজেলা কমপ্লেক্সটি ভিত্তি স্থাপন করেছিল এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট ছিল। এই কমিটমেন্ট এর জন্য আজকে এই তিতাস উপজেলা কমপ্লেক্স। এর সাথে ৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে নানা কালভার্ট ব্রিজ,রাস্তা ঘাট,মসজিদ স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ জিয়ারকান্দি থেকে হোমনা পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি সোলিং করেছিল। কারন এটি আমাদের পরিবারের দায়িত্ব ছিলো।
তিতাস উপজেলা জনগণের কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন,আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবে আমার বাবার অসম্পূর্ণ যে কাজগুলো ছিলো আমি যেনো সেগুলো সমাপ্ত করতে পারি।আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকতে পারি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,মো.রুহুল আমিন, গাজী সোহেল রানা, আমির হোসেন,মান্নান মু্ন্সি,কাজল মেম্বার,আবুল হাশেম, মজনু মিয়া,গিয়াস উদ্দিনসহ সভায় উপস্থিত ছিলেন,আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।