শেরপুরের প্রতিনিধি: সারাদেশে বিএনপির ডাকা হরতালের পূর্ব মুহুর্ত এবং হরতাল সফল করতে ২৯ অক্টোবর রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেরপুরে নাশকতা প্রস্তুতি এবং নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের লছমনপুর ইউনিয়নের রোজবার্গ অটো রাইস মিল সম্মুখ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘঠিত হয়। এসময় ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সময় সমাবেশে জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশ হত্যা ও পুলিশ সদস্যদের আহত করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে ওই ঘটনায় অনেক আহত হয়। এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৯ অক্টোবর রোববার শেরপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা হরতাল সফল করতে এবং হরতালে নাশকতা প্রস্তুতিকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের রোজবার্গ অটো রাইস মিল সম্মুখে বেশি কিছু বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘঠিত হয়। এসময় সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে এবং অন্যান্য নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত হলো- শেরপুর পৌর ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নছিমদ্দিন (৫৫), জাতীয়বাদী ছাত্রদল সহ-সভাপতি মো. শাহিনূর ইসলাম শাহীন (৩১), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ (৩২), জামায়াত নেতা মো. জয়নাল আবেদীন (৪২), বলাইয়েরচর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন (৬৫), চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে অলি (৫০), রৌহা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক (৪০), চরপক্ষমারী দিকপাড়া বিএনপি কর্মী মো. শফিকুল ইসলাম (৪০), পাকুড়িয়া চকপাড়া বিএনপি কর্মী মো. সিরাজুল ইসলাম (৫০) এবং অজ্ঞাতনামা ১জনসহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বছির আহমেদ বাদল গ্রেফতারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।