তামিম বিল্লাহ,
জেলা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরাঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্র মূলে ১৮ অক্টোবর তারিখ-কে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ আনসার ব্যাটালিয়ন পুরাতন জমিদার বাড়ী সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করা হয়।
শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, “শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়”। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘাতকেরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া/মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় পরিচালক এনামুল খাঁন (বিভিএমএস) ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে স্থাপিত শহীদ শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তিনি সকাল ৭.৫০ ঘটিকায় দরবার হলে আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ রাসেলের সংক্ষিপ্ত জীবনী নিয়ে মুল্যবান বক্তব্য রাখেন। আরোও বক্তব্য রাখেন কোম্পানী কমান্ডার মাইনুল হাসান, ল্যান্স নায়েক আব্দুল কাদের, ব্যাটালিয়ন আনসার মোঃ শাহরিয়ার সজিব ও ব্যাটালিয়ন আনসার মোঃ মোকাদ্দেছ আলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিচালক এনামুল খাঁন বলেন,“আজ শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আমরা পেতে পারতাম বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশ্ববরেন্য নেতা কিংবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন দক্ষ রাস্ট্র নায়ক। পৃথিবীর কোন নিষ্পাপ শিশুর প্রান যেন অকালে ঝরে না যায়। দেশে দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ, চক্রান্ত ষড়যন্ত্র বন্ধ করে যেন শিশুদের বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যায়”।পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যাটালিয়ন সদস্যদের উপস্থিতিতে শেখ রাসেল সর্ম্পকিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন উপভোগ করেন।
পরিচালক এনামুল খাঁন (বিভিএমএস) অন্য এক অনুষ্ঠানে ব্যাটালিয়নের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মোঃ মতিউল্লাহকে চাকুরী হতে অবসরজনিত ফেয়ার ওয়েল প্রদান করেন এবং তাকে ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও পুরুস্কার প্রদান করেন এবং তার পরিবার সহ সকলের সুস্বাস্থ কামনা করে বক্তব্য প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, ১০.৩০ ঘটিকায় উপমহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী রেঞ্জ কমান্ডার খুলনা। ৩০ আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে কোয়াটার গার্ডে স্বসস্ত্র সালাম গহন গ্রহন করে ব্যাটলিয়ন সদরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্প্রসারিত অফিস ভবনের দুইটি কক্ষ শুভ উদ্বোধন করেন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে অত্র ব্যাটালিয়নের জামে-মসজিদে বাদ জোহর ১৮ অক্টোবর ২০২৩ শহীদ শেখ রাসেল দিবস-উপলক্ষে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট নিহত শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের মধ্যে তাবারক বিতরণ করা হয়। এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যাটালিয়নের সকল পদবীর সদস্যগণ। উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দ্বায়িত্বে ছিলেন কোম্পানী কমান্ডার মাইনুল হাসান।