
মোঃ নাজমুল-খেলা ডেস্ক◼️
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে প্রাক্তন ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) বিপক্ষে নিজের বর্তমান দল ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ম্যাচ শেষে তিনি হয়ে গেলেন এক অসহায় দর্শক। আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে পিএসজি মায়ামিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।
ম্যাচের শুরু থেকেই একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় তারা। জোয়াও নেভেসের জোড়া গোল এবং সানচেস ও মুকিয়েলের অবদান নিয়ে প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলের লিড নেয় ফরাসি জায়ান্টরা। ধারাভাষ্যকারের ভাষায়, “পিএসজি যেন দুই পা দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পা দিয়ে রেখেছিল।”
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মেসির দল। বল দখলে আধিপত্য বজায় রাখলেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি তারা। সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন মেসির দীর্ঘদিনের সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। মেসির নিখুঁত এক ক্রস থেকে পাওয়া সুযোগে গোলরক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে বল ঠিকমতো সংযোগ দিতে ব্যর্থ হন এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
ম্যাচ শেষে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মায়ামিকে। অথচ ম্যাচটি ঘিরে ছিল বাড়তি আগ্রহ ও প্রচার। মেসির প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া, রোমাঞ্চ ছড়ানোর সব উপাদানই যেন ছিল। কিন্তু মাঠে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। মেসি ছিলেন নিষ্প্রভ, আর তার দল ছিল ছন্নছাড়া।
অন্যদিকে, লুইস এনরিকের পিএসজি ইউরোপ জয়ের পর এবার বিশ্ব শিরোপার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে আরও একধাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের ফ্ল্যামেঙ্গো অথবা জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখ—যারা সোমবার রাতেই মুখোমুখি হবে।
মেসির জন্য ম্যাচটি ছিল পুরনো স্মৃতি ফিরে দেখার মঞ্চ, কিন্তু বাস্তবতায় তা পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে। আর পিএসজির জন্য এটি ছিল প্রতিশোধের মতো দাপুটে এক জয়।