
ডেস্ক রিপোর্ট◾
ইতিহাসের পাতায় ন্যায়বিচার ও কঠোর শাসনের এক উজ্জ্বল নাম—হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে তাঁর শাসনকাল ছিল সুবিচার, জনকল্যাণ ও দৃষ্টান্তমূলক প্রশাসনের এক আদর্শ সময়।
সম্প্রতি একটি ইসলামি গবেষণা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হযরত উমর (রা.)-এর ন্যায়বিচার ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা আজকের আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্যও একটি রোল মডেল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, “উমর (রা.)-এর শাসনকাল ছিল এমন এক সময়, যখন রাষ্ট্রের প্রধান হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের চেয়ে নিজেকে কখনো বড় ভাবতেন না। একবার এক বৃদ্ধ মহিলা তাঁকে তিরস্কার করলে তিনি মাথা নিচু করে শুনেছিলেন।”
হযরত উমর (রা.)-এর সময়েই প্রথমবারের মতো ‘দারুল হিজরা’, ‘বায়তুল মাল’, রাত্রিকালীন টহল, সরকারি বেতন কাঠামো, এমনকি আদালত ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ চালু হয়।
ইতিহাসে আছে, একবার এক অন্ধ বৃদ্ধ ভিক্ষা করছিলেন। উমর (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি ইহুদি?” বৃদ্ধ বলল, “হ্যাঁ।” তখন তিনি আফসোস করে বলেছিলেন—”আমরা তো তার কাছ থেকে কর নিয়েছি যখন সে শক্তি ছিল, আজ তাকে ভিক্ষায় ছেড়ে দিয়েছি!” এবং সঙ্গে সঙ্গে তার জন্য বায়তুল মাল থেকে ভাতা নির্ধারণ করেন।
তাঁর জীবনের এহেন অসংখ্য ঘটনা প্রমাণ করে, একজন শাসকের কাছে ইসলাম কী রকম দায়িত্ববোধ আশা করে।