শরিফ আহম্মেদ চাঁদ,হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাহেরহুদা ইউনিয়নের খলিশাকুন্ডু গ্রামে জমি নিয়ে গোলযোগের জের ধরে মৃত জোয়াদ আলী মন্ডল এর পুত্র জবেদ আলী মন্ডল গং ও একই গ্রামের আনসার আলীর পুত্র রবজেল হোসেন গং মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মারামারিতে উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয় তার মধ্যে রবজেল হোসেন মারাত্নকভাবে আহত হলে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে, পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রবিবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত ভোররাতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মৃত্য রবজেল হোসেন ৩ সন্তান রেখে এই দুনিয়া ছেড়ে পরপারে চলে গেলেন। মৃত্যুর খবর পৌছানো মাত্র মৃতের স্বজনদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়,সে জন্য হরিণাকুন্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু আজিফ এর নেতৃত্বে থানা ও ভবানীপুর ফাঁড়ীর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আইনশৃংখলা বজায় রাখেন। অপরদিকে ভরস আলী গং’রা হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন, রবজেল হোসেনের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র গ্রেফতার ও পূণরায় গোলযোগ এড়াতে হাসপাতাল থেকে রিলিজ না নিয়েই পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসির বক্তব্যে জানাগেছে, গত দুইরাত ধরে ভরস আলী ও জবেদ আলী মন্ডল গং এর স্বজনরা তাদের বাড়ীতে থাকা হাঁস মূরগী গরু ছাগল সহ মূল্যবান জিনিসপত্র আত্নীয় স্বজনদের বড়ীতে সরিয়ে ফেলেছে। সহিংসতা সহ অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে বর্তমানে ঐ গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
একই গ্রামের ওহিদুল ইসলাম ওহিদ মেম্বর (সাবেক) বলেন, আমার ভাগ্নের উপর পরিকল্পিত ভাবেই হত্যার উদ্দ্যেশে আক্রমন করেন।এই আক্রমনের পিছনে অন্য কারোর হুকুম রয়েছেন বলে জানান।
ঘটনার সময় আমি নিজেও গ্রামে উপস্হিত ছিলাম না কিন্তুু আমার নামেও তারা মিথ্যা অভিযোগ করেন।
আমি প্রশাষনের কাছে দ্বাবি করছি সঠিক ভাবে তদন্ত করে দেখবেন।আমার ভাগ্নের হত্যার উদ্দ্যেশে যারা আক্রমন করেছে, তাদেরকে আইনের মাধ্যমে সাজার ব্যবস্হা করা হোক।
মৃত্যের স্বজন ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ খলিশাকুন্ডু গ্রামে পৌছালে নামাজে জানাযা শেষে মৃতের দাফন সম্পন্ন করা হবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ প্রশাসন মোতায়ন আছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রস্তুুত আছে। এব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। দোষী ব্যক্তিদের শিগ্রহী আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।