শরিফ আহম্মেদ চাঁদ,হরিণাকুন্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃধান,পান,কলা এই উপজেলার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল হিসাবে চাষ হচ্ছে বর্তমানে। পাশাপাশি মাছের চাষও পিছিয়ে নেই। বলছি দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা অঞ্চলের কথা।
কৃষক আনোয়ার হোসেন, দ্বীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছিলেন মাছ। এ বছরেও তা ব্যর্তয় ঘটেনি। দিন বদলের স্বপ্নে ১৮ বিঘা জলাকার পুকুরে চাষ করছিলেন রুই কাঁতল,মৃগেল গ্লাসকাপ,সহ দেশীয় মাছের। কিন্তু তার এই স্বপ্ন নিমিষে শেষ করলো শত্রুরা।হিংসাত্মকভাবে পুকুরে অক্সিজেন বন্ধ করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মাছ ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পায়রাডাঙ্গা গ্রামের তোফাজ্জেল শাহ এর পুত্র আশা শাহ এর বিরুদ্ধে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে উপজেলার কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের আনোয়ার হোসেন এবং পায়রাডাঙ্গা গ্রামের আশা শাহ পদ্ম বিলের মাঠে যৌথ ভাবে বৈদুতিক মিটার স্থাপন করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। উভয়ের মধ্যে বিদুৎ বিল সুষ্ঠ ভাবে বণ্ঠন করে মিটারের টাকা পরিশোধ করে আসছিলো। হঠাৎ মাছের সাথে এভাবে শত্রুতায় ক্ষতিগ্রস্থ আনোয়ার হোসেন এখন প্রায় বাকরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। আকর্ষিকভাবে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে মাছ চাষি আনোয়ার হোসেনের মাছ মারা গিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয় বলে জানান এলাকাবাসী।
এদিকে মাছ চাষি আনোয়ার হোসেন দৈনিক ক্রাইম তালাশ কে বলেন, আমি ৩ বছর যাবৎ নিজের জমি এবং লিজ নিয়ে পদ্ম বিলের মাঠে এই মাছ চাষ করে আসছি।প্রতি বছের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মাছ বিক্রয় করে থাকি। বৈদুতিক মিটার নেওয়ার সময়ে আমরা যৌথভাবে সংযোগ নিয়েছিলাম। এখন পায়রাডাঙ্গা গ্রামের আশা শাহ (২৪ অক্টোবর) আমাকে কিছু না বলেই আমার বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে পুকুরে অক্সিজেনের অভাবে আমার ৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মাছ মারা যায়। এমনটি কেন করলেন জানতে চাইলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর চড়াও হয়। আমার পৃথক মিটার স্থাপন করার চুক্তি ছিলো ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। এই মাছ চাষে আমি ব্যপক সফলতা অর্জন করেছিলাম, কিন্তু এখন আমি পথে বসে গেলাম। কিন্তু তিনি গায়ের জোরেই শত্রুতা বশত এই ধরনের নেক্কারজনক জনক কাজ করেছেন, আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ ঘটনায় পায়রাডাঙ্গা গ্রামের তোফাজ্জেল শাহ এর পুত্র আশা শাহ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পালটা অভিযোগ তুলে বলেন, আমার বাবার নামে মিটার থেকে তিনি অবৈধভাবে বিদুৎ লাইন ব্যবহার করতেন কিন্তু তিনি নিয়মিত বিদুৎ বিল পরিশোধ করেন না। তাছাড়া তাকে আলাদা মিটার নেওয়ার কথা বললেও তিনি কোনো কর্নপাত করেন নি। তবে তার পুকুরে ফিশিং দেওয়ার পরে মাছ মারা গিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাছাড়া তার অনেক টাকা বিদুৎ বিল বাকি আছে বলেও চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।
এদিকে কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু জানান, আমাদের অঞ্চলে বেশ কিছু জলাশয় আছে তবে ঐ মাছ চাষির পুকুরে অক্সিজেনের অভাবে মাছ মারা গেছে এটা আমার জানা নেই।
মাছের সাথে সত্রুতা এটা মেনে নেওয়া যায় না। পুকুরের মাছ বিনষ্ট করার ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে রবিবারে সরেজমিনে গিয়ে অবশ্যই পরিদর্শন করবো বলেও জানান হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহীন ইসলাম।
এদিকে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ সুত্রে যানাযায় ভূক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় অভিযোগের তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই লিয়াকত হোসেন ররিবার ২৯ অক্টোবর জানান,এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।