ময়মনসিংহ সংবাদদাতাঃ গত শনিবার একটি পত্রিকায় ‘আসামির খাবারের টাকা পুলিশের পকেটে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, গত আড়াই বছরে আসামিদের দুপুরের খাবার বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। বাস্তবে বরাদ্দের খাবার দেওয়া হতো না। উল্টো পুলিশকে টাকা দিয়ে খাবার খেতে হতো আসামিদেরকে।
পত্রিকায় এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর হাজতখানায় আজ সর্বপ্রথম আসামিদের খাবার দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসে আজই প্রথম হাজতখানায় আসামীদের দুপুরের খাবার দেওয়া হলো। এত দিন পুলিশ এই খাতে সরকারি বরাদ্দের খাবার-এর টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
আজ মহানগর হাজতখানায় ৬০ আসামিকে দুপুরের খাবার দেওয়া হয় বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এত দিন আসামিরা সরকারি বরাদ্দের কোনো খাবার পেতেন না,বলে বাস্তব চিত্রে দখামেলে। বেশির ভাগই উপোস থাকতে হতো। যাঁদের স্বজনেরা আসতেন, তাঁরা পুলিশকে টাকা দিয়ে তাঁদের খাবারের বন্দোবস্ত করে নিতেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুর রশিদ বলেন, বিষয়টি এখনো অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে,বলে-একজন আসামির স্বজন তাঁকে খাবার পাওয়ার বিষয়টি জানান।
এরপর নিজে হাজতখানায় এসে দেখেন আসামিরা খাবার খাচ্ছেন। চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আসামিরা খাবার পেয়েছেন দেখে খুশি এই সরকারি কৌঁসুলি।